Swami Ramdev : আজকের দ্রুতগতির জীবনে যেখানে মানসিক চাপ, দূষণ ও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। যেকারণে অনেকেই প্রাকৃতিক ও সার্বিক চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছেন। পতঞ্জলি সংস্থা দাবি করেছে, কোম্পানির সার্বিক চিকিৎসা পদ্ধতি লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য আশার আলো জাগিয়ে তুলেছে।
এই পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদ, যোগ, প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও ধ্যানের সমন্বয়ে মানুষকে নিরাময়ের পথ দেখাচ্ছে সংস্থা। যা শরীর, মন ও আত্মার সম্পূর্ণ সুস্থতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। পতঞ্জলির মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পতঞ্জলি ওয়েলনেস সেন্টারের জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করা ব্যক্তিদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য বিকল্প হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
কী বলছে কোম্পানি
পতঞ্জলি দাবি করছে, আধুনিক চিকিৎসা ওষুধের উপর নির্ভরশীল হলেও, পতঞ্জলি ভেষজ থেরাপি, খাদ্য তালিকা ও যোগের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, সংস্থার সুস্থতা কেন্দ্রগুলি যোগব্যায়াম, ধ্যান ও ভেষজ থেরাপির মাধ্যমে শরীরকে বিষমুক্ত ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে। এটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, চাপ, উদ্বেগ ও জীবনধারা-সম্পর্কিত রোগের জন্য কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।”
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না এই চিকিৎসায়, বলছে পতঞ্জলিপতঞ্জলির মতে, “প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদের জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই চিকিৎসাগুলি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না, যা আধুনিক ওষুধ থেকে তাদের আলাদা করে। পতঞ্জলির সাফল্যের পিছনে একটি প্রধান কারণ হল আস্থা। বাবা রামদেবের ভাবমূর্তি ও কোম্পানির পণ্যের গুণমান এটিকে বয়সের সকলের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। পণ্যগুলি প্রাকৃতিক ও জৈব উপাদান দিয়ে তৈরি, কৃত্রিম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না এতে।”
হোলিস্টিক স্বাস্থ্যের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে মানুষপতঞ্জলির মতে, “সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে- যোগব্যায়াম ও আধুনিক কৌশলের সঙ্গে আয়ুর্বেদকে যোগ করে মানুষ সার্বিক স্বাস্থ্য অর্জনে আগ্রহী। পতঞ্জলি যোগ ফাউন্ডেশনের কর্মসূচিতে ব্যক্তিগতভাবে তৈরি করা যোগব্যায়াম অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক সুস্থতা বৃদ্ধি করে। উপরন্তু, পতঞ্জলির সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে এটি সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে। দেশজুড়ে সুস্থতা কেন্দ্র ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানুষ সুবিধাজনকভাবে এই পরিষেবাগুলি গ্রহণ করতে পারে। কোভিড-১৯ মহামারীর পরে প্রাকৃতিক চিকিৎসার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ও পতঞ্জলি এটিকে পুঁজি করে এগিয়ে চলেছে।”