Swami Ramdev : আজকাল দৈনিন্দিন জীবনযাত্রায় আমাদের গ্রাস করছে মানসিক চাপ। যার থেকে পরবর্তীকালে বড় রোগের মুখোমুখি হচ্ছে দেশবাসী। এই রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে বড় আশ্বাস দিয়েছে পতঞ্জলি। সংস্থার দাবি, মানসিক চাপ থেকে মুক্তির মন্ত্র যোগ, আয়ুর্বেদ।
কী বলছে সংস্থাপতঞ্জলির তরপে বলা হয়েছে, যোগগুরু বাবা রামদেবের শিক্ষা আজ স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জগতে গভীর প্রভাব ফেলছে। প্রথমে একজন সাধারণ যোগী হিসেবে এই যাত্রা শুরু করেছিলেন রামদেব। এখন তাঁর যাত্রা কেবল ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবে প্রাকৃতিক নিরাময়ের ক্ষেত্রে এক নতুন দিক নির্দেশ করছে। পতঞ্জলির মতে, বাবা রামদেব যোগ, আয়ুর্বেদ এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসাকে দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলেছেন, যা আধুনিক জীবনযাত্রার রোগগুলির সঙ্গে লড়াই করা মানুষের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে।
কোন ভাবনা রামদেবের শিক্ষার মন্ত্রসংস্থা বলছে , “স্বামী রামদেবের শিক্ষার মূল ভিত্তি হল ‘সরল জীবনযাপন, উচ্চ চিন্তাভাবনা’। তিনি প্রাণায়াম, আসন ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উপর জোর দেন, যা ডায়াবেটিস, স্থূলতা, পিঠের ব্যথা এবং মানসিক চাপের মতো জীবনযাত্রার রোগের প্রাকৃতিক সমাধান করে থাকে। বাবা রামদেব বলেছেন, আধুনিক ওষুধ লক্ষণগুলির চিকিৎসা করে, কিন্তু যোগ ও আয়ুর্বেদ মূল থেকে মানুষকে শক্তিশালী করে। তাঁর মতে, প্রতিদিন ৩০ মিনিট সূর্য নমস্কার ও অনুলোম-বিলোম প্রাণায়াম কেবল শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে না বরং মানসিক ভারসাম্যও বয়ে আনে।”
ভেষজ পণ্যের বিক্রি বেড়েছে ২০ শতাংশ, বলছে পতঞ্জলিপতঞ্জলির ২০২৫ সালের বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, কোম্পানির ভেষজ পণ্যের বিক্রি ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পতঞ্জলি দাবি করেছে, “এই পরিসংখ্যানগুলি আয়ুর্বেদের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী চাহিদা যে বাড়ছে তা দর্শায়। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে (অক্টোবর ২০২৫), পতঞ্জলি ‘আয়ুর্বেদিক মাইন্ডফুলনেস’ প্রচার শুরু করেছে। যেখানে রামদেব মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ধ্যান ও ভেষজ চায়ের পরামর্শ দিয়েছেন। তার উদ্যোগের ফলেই যুবসমাজের মনোযোগ জিম ও ডায়েটিংয়ের পরিবর্তে সামগ্রিক সুস্থতার দিকে সরে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে তার অনলাইন যোগ শিবির লক্ষ লক্ষ মানুষকে আকর্ষণ করছে। যেখানে ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান আধুনিক অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বহু মানুষ।”
স্বামী রামদেব লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করছেনসংস্থার মতে, যোগ-ভিত্তিক চিকিৎসার কোর্স এখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাবা রামদেবের শিক্ষা প্রমাণ করে, প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান আধুনিক যুগের চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান করতে পারে। আজ, মহামারীর পরে স্বাস্থ্য সচেতনতায় রামদেবের জনপ্রিয়তা লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে। ভবিষ্যতে, ডিজিটাল স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তার শিক্ষা আরও শক্তিশালী হবে। সংস্থা মনে করছে, দীর্ঘ মেয়াদে এই ব্যবস্থা সুস্থ বিশ্বের ভিত্তি স্থাপন করবে।