নয়াদিল্লি:  করোনা আবহে লোকসানের মুখে পড়ল অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা জোম্যাটো। গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে কোম্পানির লোকসান বেড়ে হয়েছে ৩৬০.৭ কোটি টাকা। মূলত ব্যয় বৃদ্ধির কারণেই এই লোকসান বলে জানানো হয়েছে। গত অর্থবর্ষে এই পর্বে কোম্পানির লোকসানের পরিমাণ ছিল ৯৯.৮ কোটি টাকা।


রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছে জোম্যাটো। উল্লিখিত পর্বে গত বছরের তুলনায় সামগ্রিক আয় ২৬৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৪৪.৪ কোটি টাকা। কিন্তু গত জুনে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে কোম্পানির মোট খরচ বেড়ে হয়েছে ১,২৫৯ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে এই পর্বে কোম্পানির খরচ ছিল ৩৮৩.৩ কোটি টাকা।


২০২১-র ৩০ জুন শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে  গ্রোফার্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের ৯.২৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব ও হ্যান্ডস অন ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেড (এইচওটিপিএল)-এর ৯.২৭ শতাংশ অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণের জন্য দুটি সংস্থার সঙ্গে সুনির্দিষ্ট চুক্তির পথে এগিয়েছে জোম্যাটো। 


কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি নিরপেক্ষ সংস্থার গিগ ইকোমনি ওয়ার্কার সার্ভে অনুযায়ী, তারা একেবারে নীচের দিকে রয়েছে। কোম্পানি জানিয়েছে, তারা মেনে নিচ্ছে যে, তাদের অনেক কিছুই করার প্রয়োজন রয়েছে এবং তাদের ডেলিভারি অংশীদারদের সঙ্গে কাজের পরিবেশের উন্নতির জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জোম্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা তথা সিএফও অক্ষন্ত গয়াল এক চিঠিতে এ কথা জানিয়েছেন। 


কোম্পানি জানিয়েছে, জোম্যাটোর যে সমস্ত ডেলিভারি পার্টনার রয়েছে, যারা বাইকে সরবরাহ করে থাকে, তাদের মধ্যে প্রথমসারির ২০ শতাংশ অংশীদার প্রতি সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় দেয়, তারা গড়ে মাসে ২৭ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকে। কোম্পানি জানিয়েছেন, গত জুলাইতে তাদের সক্রিয় ডেলিভারি পার্টনারের সংখ্যা ছিল তিন লক্ষের বেশি, যা কোম্পানির কার্যকালে সবচেয়ে বেশি। 


উল্লেখ্য, সম্প্রতি গত ২৩ জুলাই শেয়ার বাজারে দুরন্ত অভিষেক হয়েছে জোম্যাটোর। বিএসই-তে দিনের শেষে জোম্যাটোর প্রতি শেয়ারের দাম ছিল ১২৪.৯৪ টাকা, যা আগের দিন বাজার বন্ধের সময়ের থেকে ৪.২২ শতাংশ কম।