পুলিশ সূত্রে খবর, সত্যনারায়ণ জানিয়েছে, জামাই লাচ্ছানার সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ১০ মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য সত্যনারায়ণের মেয়েকে খুন করে লাচ্ছানা। তারপর থেকে সত্যনারায়ণের কাছে থাকত মেয়ে ও লাচ্ছানার দুই শিশুকন্যা।
অভিযোগ, মেয়ের ১০ মাসের মৃত্যুর কিছু আচার অনুষ্ঠান করার জন্য জামাই লাচ্ছানাকে বাড়িতে ডাকে সত্যনারায়ণ। সেখানে মদ খেয়ে এসে পৌঁছেছিল লাচ্ছানা। মদ্য়প অবস্থায় সে স্বীকার করে, সত্যনারায়ণের মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য সেই খুন করেছে। উপরন্তু ২ মেয়েকে তার খুন করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই জন্যই ২ মেয়েকে নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় সে। মদ্যপ অবস্থাও সেকথাও স্বীকার করে লাচ্ছানা।
এরপরেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে লাচ্ছানার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সত্যনারায়ণ। জামাইয়ের গলা কেটে আলাদা করে ফেলে সে। এরপর সেই আলাদা মুণ্ডু নিয়ে থানায় দিয়ে আত্মসমর্পন করে সত্যনারায়ণ।
আপাতত পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তাঁকে।