পূর্ব বর্ধমান: বোনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত গোলমালের জেরে জামাইবাবুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে খুন করার অভিযোগ উঠলো শ্যালকের বিরুদ্ধে। সম্পর্ক এতটাই বিষিয়ে গিয়েছিল যে জামাইবাবুকে খুন করতেও হাত কাঁপল না শ্যালকের।  এমনই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়।  অভিযুক্ত শ্যালকের নাম  হাসেম খাঁ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।


বিবাহবিচ্ছেদের নিয়ে অশান্তির জেরেই এই খুন বলে ধারণা পুলিশের। এই গোলমালের সূত্রপাত বেশ কয়েক বছর আগেই।   জানা গেছে,  দশ বছর আগে হাসেম খাঁ এর বোনের সাথে বিয়ে হয় নাজির শেখের। কিন্তু বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া-বচসা লেগেই থাকতো। এভাবে অশান্তি চলতে থাকায় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন নাজির।

তিনি এই প্রস্তাব দিলে তাঁর স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। সেই পরিমাণ অর্থ নাজিরের ছিল না। দু’বছর আগে সেই টাকা রোজগারের জন্যে মুম্বইয়ে একটি সোনার দোকানে কাজ শুরু করেন নাজির শেখ। দুদিন আগে মুম্বই থেকে কালনায় নিজের বাড়ি ফেরে নাজির । এরইমধ্যে গতকাল গভীর রাতে নাজির শেখকে বাড়ি ডেকে নিয়ে যায় তার শ্যালক হাশেম খাঁ। এর পরই দু জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরিবারের অভিযোগ ,হাসেম খাঁ পকেট থেকে ছুরি বের করে সাতগাছিয়া সতীপীঠ বটতলার কাছে তাঁর  গলায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাজির শেখ। এরপর পরিবার ও এলাকাবাসীরা তাকে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।

অভিযুক্ত হাসেম খাঁ ঘটনার পর থেকেই ফেরার। নাজির শেখের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ। হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ ধরনের অভাবনীয় নৃশংস ঘটনায় সকলেই হতবাক।