মধুবনী: বিহারের মধুবনীতে এক মূক ও বধির কিশোরীর উপর নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ। গণধর্ষণের পর ১৫ বছরের মেয়েটি যাতে অপরাধীদের চিনতে না পারে, সেজন্য ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার চোখ নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হল। মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। তার আঘাত গুরুতর। দু’টি চোখই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


মধুবনীর পুলিশ সুপার সত্য প্রকাশ জানিয়েছেন, ‘গ্রাম প্রধান রাম ইকবাল মণ্ডল জানিয়েছেন, গতকাল হরলাখি থানা এলাকার কৌবাহা বারহি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। মেয়েটি ছাগল চড়াতে গ্রামের বাইরে একটি মাঠে গিয়েছিল। তার সঙ্গে কয়েকজন শিশুও ছিল। সেই সময়ই তার উপর অত্যাচার চালানো হয়। একটি শিুশু মেয়েটির বাড়িতে খবর দেয়। মেয়েটির বাড়ির লোকজন গিয়ে দেখেন, মনোহরপুর গ্রামের কাছে একটি মাঠে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সে পড়ে রয়েছে।’

হরলাখি থানার এসএইচও প্রেমলাল পাসোয়ান জানিয়েছেন, ‘মেয়েটিকে প্রথমে উমগাঁও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে মধুবনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’

অন্যদিকে, বিহারেরই মুজফফরপুরে অন্য একটি নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মেয়েটির উপর অত্যাচার চালানোর পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় চার অভিযুক্ত। আজ সকালে হাসপাতালে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে এসডিপিও রাজেশ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, ‘চারজনের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন মেয়েটির বাবা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।’

কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে এক নাবালিকাকে আখের খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এর ফলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গর্ভাবস্থাজনিত অসুস্থতার ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ধর্ষণের পর মেয়েটিকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দেয় ওই দুষ্কৃতী। পুলিশকে এই ঘটনার বিষয়ে জানানোর পর মামলা দায়ের করা হয়। গর্ভপাতের আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজি হননি চিকিৎসকরা।