কলকাতা: জুনিয়র মৃধা হত্যা তদন্তে সামনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই সূত্রের দাবি, খুনের দিন জুনিয়রের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে কল করে প্রিয়ঙ্কা চৌধুরীকে তাঁর বন্ধুর মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি।


হত্যার রাতের রহস্যভেদ করতে জুনিয়র মৃধার বাবা-মায়ের সামনে বসিয়ে প্রিয়ঙ্কা চৌধুরীকে শুক্রবার ম্যারাথন জেরা করেন গোয়েন্দারা। দুপুর পৌঁনে তিনটে নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন জুনিয়র মৃধার বাবা সমরেশ মৃধা ও মা শ্বেতা মৃধা। তারপর প্রিয়াঙ্কা চৌধুরিকে সামনে বসিয়ে শুরু হয় ম্যারাথন জেরা।

খুনের রাতে কখন ঠিক কী ঘটেছিল? তা নিয়ে এখনও বহু ধোঁয়াশা। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাত ৯টা ২০ মিনিটে জুনিয়র ও প্রিয়ঙ্কার মধ্যে ফোনে শেষ কথা হয়। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে জুনিয়রের মোবাইল থেকে শেষ মেসেজ যায় প্রিয়ঙ্কার ফোনে।

ওই মেসেজে লেখা হয়, আজ তোমার স্বামী বাড়িতে নেই। তাহলে তুমি আমার সঙ্গে দেখা করলে না কেন? গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, প্রিয়ঙ্কার তরফে এই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের উত্তর দেওয়া হয়নি।

এর পরেরটা মারাত্মক। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১০টা ৪৫ মিনিট। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জুনিয়র মৃধার ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে প্রিয়ঙ্কাকে কল করেন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে করা ওই ফোনে বলা হয়, ছেলেটি মারা গেছে। বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ওর মৃতদেহ রাখা আছে।


২০১১ সালের ১২ জুলাই জুনিয়রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে।

সূত্রের খবর, ২০১১ সালের ১২ জুলাই রাত ৮ টা ৪৫ নাগাদ সল্টলেক ৯ নম্বর ট্যাংকের কাছে জুনিয়র মৃধার বাইকে এক যুবক বসে আছে সেই সিসিটিভি ফুটেজ সিআইডি সিবিআইকে দিয়েছে। সেই যুবক কে ? চলছে তদন্ত। জুনিয়রের বাইকের পিছনে একজনকে দেখা যায়, বাইকে পিলিয়নে কে ছিল, তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা। প্রিয়ঙ্কা চৌধুরীর গাড়ির চালককে শুক্রবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।