কলকাতা: কলকাতার বুকেই সাংঘাতিক ঘটনা ! ঘুমন্ত অবস্থায় বাবাকে পুড়িয়ে মারল তাঁর নিজের মেয়ে ৷ চাঁদপাল ঘাটের পার্ক থেকে উদ্ধার হল প্রৌঢের জ্বলে যাওয়া দলা পাকানো দেহ ৷ পুলিশি জেরায় নিজের অপরাধ কবুলও করে নিয়েছে অভিযুক্ত মেয়ে ৷ খাস কলকাতা শহরের এমন ঘটনায় কেঁপে গিয়েছেন তদন্তকারীরাও ৷ 


পার্কের ধারে পড়ে থাকা পোড়া মাংসপিণ্ড দেখতে পেয়ে প্রথমে স্থানীয়রাই খবর দেন পুলিশকে ৷ নর্থ পয়েন্ট থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে দেহটি এবং তদন্ত শুরু করে ৷ পরে জানা যায়, পুড়ে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ আঢ্য (৫৪) ৷ বাড়ি তোপসিয়ার ক্রিস্টোফার রোডে ৷ মৃত্যুর আগে মেয়ে পিয়ালির সঙ্গে বেরিয়েছিলেন তিনি ৷ এমনটা স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারে পুলিশ ৷ এরপর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ ৷ অভিযুক্ত মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ জেরায় ২২ বছরের মেয়ের বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে ৷ 


জেরায় অভিযুক্ত মেয়ে পিয়ালি জানিয়েছে, ডিভোর্সের পর বাবার কাছেই থাকত সে ৷ কিন্তু বাবা তাকে অত্যাচার করত এবং মদ খেয়ে মারধর করত বলেও পুলিশকে জানিয়েছে পিয়ালি ৷ সহ্যের সীমা পেরোতেই এরপর বাবাকে খুন করার পরিকল্পনা করে সে ৷ এরপরেই চাঁদপাল ঘাট লাগোয়া পার্কে নিয়ে গিয়ে বাবাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারে মেয়ে ৷ ঘটনায় চমকে উঠেছেন তদন্তকারী অফিসাররাও ৷ 


এদিকে ভাঙড়ে আব্বাস অনুগামীকে মারধর, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আব্বাসের সভায় যাওয়ায় শাসকদলের হামলা, দাবি আইএসএফ কর্মীর। পারিবারিক বিবাদের জের, রাজনীতি-যোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি ঘাস-ফুল শিবিরের। ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মী-সহ এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, রাতে আইএসএফ কর্মী আজিত মোল্লার বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মারধরের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আইএসএফ কর্মীর পরিবারের দাবি, আব্বাসের সভায় যাওয়ার কারণেই হামলা। ভাঙড়ের আইএসএফ কর্মী মহম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘‘ভাইজানের মিটিংয়ে গিয়েছিলাম...বাড়ি ফেরার পর তৃণমূল আগুন লাগিয়ে দিয়েছে...বাবাকে রড, লাঠি দিয়ে মারে...আইএসএফ করি বলেই এই হামলা ৷’’