কলকাতা: নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন সন্ধ্যায় আহত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফর বাতিল করে তাঁর কলকাতায় ফিরে আসা এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা, রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল এই ঘটনায়।


তৃণমূলের দাবি, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। বিজেপির পাল্টা দাবি, সহানুভূতি আদায় করতে দুর্ঘটনা তত্ত্ব সাজিয়ে নাটক করছেন তৃণমূল নেত্রী। নন্দীগ্রামে মমতার আহত হওয়ার নেপথ্য কারণ কী হতে পারে, সাধারণ মানুষ কী মনে করছেন, এ নিয়ে জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল সি ভোটার। এবিপি আনন্দ-সি ভোটার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৪১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, নন্দীগ্রামে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিপরীত মতও রয়েছে। যদিও শতাংশের হারে কম। ৩৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সত্যিই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন মমতা। আর ২২ শতাংশ মানুষ বলছেন, তাঁরা এর নেপথ্যে কী ছিল, দুর্ঘটনা না চক্রান্ত, তা বলতে পারবেন না।


বিতর্কের আবহে মনোনয়ন পেশ সিঙ্গুরের বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের


আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যের ফলাফলের পাশাপাশি সকলের নজর থাকবে নন্দীগ্রামে। কারণ, পূর্ব মেদিনীপুরের এই কেন্দ্রে এবার সবচেয়ে হাইভোল্টেজ লড়াই। যে লড়াইয়ে একদিকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি নিজের ভবানীপুর আসন ছেড়ে নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে বিরোধীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। আর তাঁর হেভিওয়েট প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী। যিনি এক সময় মমতার অন্যতম সেনাপতি ছিলেন আর এবার লড়াই করবেন বিজেপির টিকিটে। বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চা এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়কে।


গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রিন করিডর করে কলকাতায় আনা হয় তৃণমূলনেত্রীকে। নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।


১০ মার্চ দিনভর মন্দিরে পুজো থেকে ধর্মানুষ্ঠান, নানা কাজে ব্যস্ত ছিলেন মমতা।  তারপর নন্দীগ্রাম থেকে হলদিয়া গিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি। তারপর নন্দীগ্রাম ফিরে আসেন। সেদিন নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল মমতার। 


কিন্তু, সন্ধেয় আচমকাই আঘাত পান মমতা। মাথায়, পায়ে ও কোমরে চোট পেয়ে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় ফেরেন তৃণমূল নেত্রী তথা নন্দীগ্রামের প্রার্থী। তারপরই চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন মমতা। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।