কলকাতা : কাঁকুলিয়া রোডে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়িচালক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১। ডায়মন্ড হারবার থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত মিঠু হালদার। আগামীকাল ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। জোড়া খুনে জড়িত আরও কেউ, জানিয়েছে লালবাজার। গতকাল রাতেই ডায়মন্ড হারবার যায় গোয়েন্দা দল। পাশাপাশি রাতেই মিঠুর ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা।


আজ সকাল থেকে মিঠুর ছেলে এবং ভাইকেও ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই প্রশ্নের বিভিন্ন উত্তর মেলায় অসঙ্গতি স্পষ্ট হয়। বিকেলে ডায়মন্ড হারবার থেকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয় মিঠুকে। লালবাজারে আরও একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদের পর মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত মিঠু হালদারের বড় ছেলে ভিকি পলাতক। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। বিজয়া দশমীর পরের রাতে মিঠুকে রক্তমাখা জামা কলের জলে ধুতে দেখেছিলেন সে যে বাড়িতে ভাড়া থাকত সেখানকার মালকিন। যে প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছিলেন, ছেলে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তাই জামা ধুয়ে রক্ত পরিষ্কারের চেষ্টা করছিলেন তিনি।


গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে বাড়ি বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন কর্পোরেট কর্তা। যে বিজ্ঞাপন দেখে ভিকি বেশ কয়েকবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে। আর যা থেকেই গোয়েন্দাদের ধারণা মিঠু ও তাঁর বড় ছেলে মিলে পরিকল্পনা করেই সম্ভবত খুন করেছিল। খুনের মোটিভও কার্যত পরিষ্কার গোয়েন্দাদের কাছে। 



কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের তদন্তে নেমে সামনে এসেছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কী ধরনের ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে, তার একটা আন্দাজ পান তদন্তকরীরা। পুলিশ সূত্রে দাবি, খুনের পর রক্তাক্ত ধারাল অস্ত্রটি আততায়ী পাশ বালিশের ওপর রেখে দেয়। সেই কারণে বালিশে তার ছাপ পড়েছে। পরে আততায়ীরা ধারাল অস্ত্রটি নিয়ে গেলেও, ওই ছাপ থেকে কী ধরনের অস্ত্র খুনে ব্যবহার করা হয়েছে, তার একটা আন্দাজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।


পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের ধরন দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, পেশাদারি কায়দায় খুন করা হয়েছে। খুনি সম্ভবত ডানহাতি। খুনের আগে আততায়ীদের সঙ্গে যে কর্পোরেট কর্তা ও তাঁর গাড়িচালকের ধস্তাধস্তি হয়েছিল, তার প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি ছিল। 


আরও পড়ুন- কাঁকুলিয়া রোডে বাড়ির মধ্যে উদ্ধার জোড়া মৃতদেহ


আরও পড়ুন- কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুন কাণ্ডে কোন পথে পালিয়েছিল আততীয়রা? প্রশ্ন উস্কে দিল পুলিশের স্নিফার ডগ