পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: কাঁকুলিয়া রোডে কর্পোরেট কর্তা ও তাঁর গাড়ি চালকককে খুনের পর আততায়ীরা কি বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পালিয়েছে? এই প্রশ্নই উস্কে দিল পুলিশের স্নিফার ডগ। আজ সকালে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা স্নিফার ডগ নিয়ে আসেন ঘটনাস্থলে। এরপর স্নিফার ডগ বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে অনেকটা এগিয়ে যায়। তারপর কার্যত ছুটতে শুরু করে। সেইভাবেই পৌঁছে যায় বালিগঞ্জ স্টেশনে। বালিগঞ্জ স্টেশনের ১ ও ২ নম্বর প্লাটফর্মের দিকে নির্দেশ করে স্নিফার ডগ। তাহলে কি আততায়ীরা ঘটনার পর ট্রেনে করে পালিয়েছে? এই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: টম্যাটো ১০০, ৬০ টাকার লঙ্কাও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে! লক্ষ্মীপুজোর আগে আগুন বাজার
আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে রেশন’ নয়, ‘দোকানে রেশন’-এর দাবি জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের
গড়িয়াহাট থানার কাঁকুলিয়া রোডে খুন কর্পোরেট কর্তা ও তাঁর গাড়ি চালকের খুনের ঘটনায় বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘটনার দিন সন্ধে ৬টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাক্টিভ ছিল নিহত সুবীর চাকীর মোবাইল নম্বর। কিছুক্ষণ পর মোবাইল ফোনটি সুইচড অফ হয়ে যায়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই সময়ের আশেপাশে খুন হন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ি চালক রবীন মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় ঘরে কজন ছিল তার আন্দাজ পেতে সাহায্য নেওয়া হবে থ্রি ডি মডেল প্রযুক্তির।একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। নিহতদের মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার আগে থেকে গত কয়েকদিনে কাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন দু’জনে, তার তালিকাও তৈরি হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কর্পোরেট কর্তার শেষ কয়েকদিনের সুবীর চাকীর আত্মীয় ও অফিস কলিগদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরও পড়ুন: Kharagpur : রাস্তা না পুকুর ? বোঝা দায় ! খড়গপুরে জল-যন্ত্রণা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা