ফতেপুর: বিবাহিতা কন্যাকে গুলি করে খুন বাবার! এমনই অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম চন্দ্র মোহন সিংহ। তাঁর ২০ বছরের মেয়ে স্বাতীকে তিনি খুন করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন বারেবারেই স্বাতীর বিরুদ্ধে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বজায় রাখার অভিযোগ করছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তাঁরা স্বামীকে চন্দ্র মোহনের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যান। এই ঘটনার রাগের চোটে মেয়েকে চন্দ্র মোহন খুন করেন বলে অভিযোগ।
গত শনিবার মেয়ের খুনের পর জয়সিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্র মোহন গাড়ি চালিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করেন। সেই সঙ্গে পুলিশের কাছে জমা দেন তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডবল-ব্যারেল বন্দুক।
খুব কাছ থেকে স্বাতীকে তিনবার গুলি করেন চন্দ্র মোহন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চন্দ্র মোহনের মেয়ের।
জানা গেছে, এক বছর আগে কানপুরের সাচেন্দির সিংপুর এলাকার বাসিন্দা নগেন্দ্র সিংহের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল স্বাতীর। শহরের সার্কেল অফিসার অনিল কুমার বলেছেন, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানার পর স্বাতীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে গত বৃহস্পতিবার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যান। পারিবারিক সূত্রে খবর, স্বাতীর সঙ্গে তাঁর বাবার বচসা বেঁধে যায়। তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। স্বাতী কোনওভাবেই তাঁর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর রাগের চোটে চন্দ্রমোহন তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক বের করে এনে গুলি চালান। স্বামীর মৃত্যুর পর চন্দ্রমোহন পুলিশের কন্ট্রোলরুমে ফোন করে জানান যে, তিনি তাঁর মেয়েকে খুন করেছেন এবং এখন তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। পরে তিনি নিজেই বাইক চালিয়ে এসে ঠারিওয়ান থানায় পৌঁছন।
অনিল কুমার জানিয়েছেন, মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। চন্দ্রমোহন পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর বিবাহিত মেয়ের কার্যকলাপে তিনি বীতশ্রদ্ধ হয়েই এই চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
সার্কেল অফিসার আরও জানিয়েছেন, ঘটনার পরই গা ঢাকা দেন নিহতের মা ও ভাই। তাঁদের সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। মৃতের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।