কলকাতা: রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডুর নিখোঁজ মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপের হদিশ পেতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বা ইডি-র তত্‍কালীন তিন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। গৌতমকে প্রথম গ্রেফতার করে ইডি। সেই সময় ইডির হেফাজত থেকে উধাও হয় গৌতমের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ।

সিবিআই দাবি করেছে, তারা তদন্তভার নেওয়ার পর ল্যাপটপ চেয়ে একাধিকবার ইডিকে চিঠি পাঠালেও কোনও সদুত্তর মেলেনি। তাহলে কি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ গৌতমের পরিবারকে ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই, এমনটাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ইডি-র তিন আধিকারিককে।

এর আগে ১৬ তারিখ রোজ ভ্যালি-কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে গৌতম কুন্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুন্ডুকে। তার আগে তাঁকে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। সেখানে শুভ্রা বহু প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। ইচ্ছাকৃতভাবে অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়েও যান। এই মামলায় আগে থেকেই গ্রেফতার হয়েছেন গৌতম কুণ্ডু। শুভ্রার বিরুদ্ধে রোজ ভ্যালির বহু কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, শুভ্রা কুন্ডুর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ আছে। গ্রেফতারের পর তাঁকে তোলা হবে ভুবনেশ্বর আদালতে। ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডুকে আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ২০১৫ সাল থেকে জেলে রয়েছেন তিনি। এই মামলায় শুভ্রা মুখ খুললে আরও অনেক প্রভাবশালীর নাম বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছে সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে খবর, গৌতম জেলে যাওয়ার পর রোজ ভ্যালির কোষাগারের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন শুভ্রা। যে ‘অদ্রিজা’ গয়নার দোকানের আড়ালে কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ, তারও দেখভাল করতেন তিনি। এমনকি সেই সময় তদন্তের দায়িত্বে থাকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর এক কর্তা মনোজ কুমারের সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে, শুভ্রার কাছ ‘সুবিধা’র বিনিময়ে তদন্তকে ভুল পথে চালনা করছিলেন তিনি। সেই সময় মনোজকেও গ্রেফতারও করে কলকাতা পুলিশ।