নেল্লোর: টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা রফি শেখ আত্মহত্যা করেছেন। অন্ধ্র প্রদেশের নেল্লোরে নিজের বাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর। কেন তিনি এমন পদক্ষেপ করলেন তা পরিষ্কার নয়, এ ব্যাপারে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে তাঁর বাড়ির লোক অভিযোগ করেছেন, কিছুদিন ধরে তাঁদের ছেলেকে নিগ্রহ করা হচ্ছিল।

রফি শেখের বাবা মা জানিয়েছেন, দিনকয়েক আগে তাঁদের ছেলেকে তাঁর কয়েকজন বন্ধু অপহরণ করে। এক তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে তিনি নারায়ণ রেড্ডি পেট এলাকার এক কাফে কফি ডে কফি শপে গিয়েছিলেন, এরপর দেখা করতে যান বন্ধুদের সঙ্গে। তখন তারা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে, তুলে রাখে আপত্তিকর ভিডিও। তারপর তাঁকে তারা ছেড়ে দেয়। তবে এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ, এরপর থেকে তারা ভয় দেখাতে থাকে, ওই সব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেওয়া হবে। ব্ল্যাকমেলের জেরেই তিনি আত্মহত্যা করলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ রফির আত্মহনন নিয়ে রহস্যময় মৃত্যু সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেছে, একই সঙ্গে খতিয়ে দেখছে তাঁর বাবা মায়ের অভিযোগের সারবত্তা। যাদের বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাদের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।

অন্ধ্র প্রদেশের টিকটক তারকা রফি শেখ ২০১৯ সালে শিরোনামে উঠে আসেন। সে বছর সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দেন তিনি। তাঁর বান্ধবী ও নামী টিকটক তারকা সোনিকা কেথাভাথের দুর্ঘটনার জেরে মর্মান্তিক মৃত্যুর পর এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রফি ও সোনিকার মোটর বাইক প্রচণ্ড গতিতে এসে একটি বাইসাইকেলে ধাক্কা দেয়। রফির ভাগ্য ভাল ছিল, অল্পস্বল্প চোট পাওয়ার বেশি তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি তাঁর। কিন্তু গুরুতর আহত হন সোনিকা। সে বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি। এই ঘটনার জেরে রফি শেখ টিকটক ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন।