প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: গুলি-আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কালীগঞ্জ (Nadia Illegal Arms Recovery) থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের অভিযোগ, ধৃত কামরুল জামান মন্ডল একজন দুষ্কৃতী। তার কাছ থেকে ৩৫ রাউন্ড গুলি এবং সেভেন এম এম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।


কী জনা গেল?
ধৃতের বাড়ি কালীগঞ্জ থানার ছোট চাঁদঘর দক্ষিণ পাড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ছোট চাঁদঘর-পাগলাচণ্ডী রাস্তায় একটি কালভার্টের কাছে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাকে তল্লাশি করতেই ৩৫ রাউন্ড গুলি এবং সেভেন এম এম পিস্তল উদ্ধার মেলে। এরপরই গ্রেফতার করা হয় কামরুল জামান মন্ডলকে। প্রাথমিকভাবে ধারণা, গুলি-আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের ছকি ছিল তার। শনিবার ধৃতকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা এই রাজ্য়ে বিরল নয়। মাসখানেক আগে যেমন, পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরে বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র  উদ্ধার হয়েছিল বলে খবর। সে বার তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি থেকে ব্যাগ ভর্তি বোমা, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় আটকও হন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। দলীয় কোন্দলের শিকার, দাবি করেন তাঁরা। যদিও ব্লক সভাপতি জানিয়েছিলেন, আটকরা  তৃণমূল কর্মী নন, সমাজবিরোধী। 


আগেও বার বার...
পঞ্চায়েত ভোটের সময় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ঘিরে একাধিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন এই রাজ্য়ের মানুষ। যেমন, বীরভূমের নানুরের পাকুড়হাস গ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ৯ মিমি পিস্তল, দুটি ৭.৬৫ মিমি  পিস্তল, ৫ রাউন্ড ৮মিমি কার্তুজ, ২ রাউন্ড ৯ মিমি কার্তুজ, ৬ রাউন্ড ৭.৬৫ মিমি কার্তুজ, ৬ কেজি গান পাউডার, ৪ কেজি ইয়েলো গান পাউডার উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এখানেই শেষ নয়, বীরভূমের সাঁইথিয়ার গ্রামে দু-পক্ষের বোমাবাজিতে হাত-পা উড়ে গিয়েছিল এক যুবকের। গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল এক নাবালক। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আতঙ্কের পরিবেশ ছিল।বীরভূমের নাচপাহাড়ি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২টি নাইন এমএম, একটি ওয়ান শটার ও ১১ রাউন্ড গুলিও। এতেই শেষ নয়। গত বছর সেপ্টেম্বরে, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ঢুকে পড়েছিল এক যুবক। বীরভূমের রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেই স্মৃতি হয়তো অনেকেরই স্মরণে থাকবে। ঠিক এর পরের মাসে, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হয় ২ যুবক। পুলিশের দাবি, ধৃতদের থেকে দু'রাউন্ড গুলি-সহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। বস্তুত, এরকম ঘটনার তালিকা দীর্ঘ যা কিনা একটাই প্রশ্ন তুলছে। প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে রাজ্যে ঢোকে এই আগ্নেয়াস্ত্র?


 


আরও পড়ুন:'মহিলাদের রাতে জোর করে পার্টি অফিসে নিয়ে যেত', শাহজাহান-বাহিনীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু