রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: হিমঘর থেকে লিক হওয়া বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাসে (Ammonia Gas Leak Death) ঝলসে মৃত্যু হল এক টেকনিশিয়ানের।  জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত বেরুবাড়ির ঘুঘুডাঙা এলাকার ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, জনতা হিমঘর থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করাতেই বিপত্তি। মৃত টেকনিশিয়ানের নাম কুতুবউদ্দিন শেখ। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। 


কী জানা গেল? 
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, শনিবার সকাল আটটা নাগাদ দমকল বাহিনীর কাছে খবর আসে, ঘুঘুডাঙা এলাকায় অবস্থিত জনতা হিমঘর থেকে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হচ্ছে। খবর পেয়েই দ্রুত জলপাইগুড়ি থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের ইঞ্জিন। পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, খবর ছড়াতেই হিমঘর থেকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি থেকে দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আই সি সঞ্জয় দত্ত জানান, এক ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হিমঘরের টেকনিশিয়ানরা ভিতরে লিক বন্ধ করতে করতে পেরেছেন। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু তার পরেই ওই টেকনিশিয়ানের মৃত্যুর কথা জানা যায়। শোনা যাচ্ছে, তিনি আজ পাইপে উঠে কাজ শুরু করেছিলেন। হঠাৎ পাইপ ফেটে যায়, প্রচুর পরিমাণে অ্যামোনিয়া গ্যাস বেরিয়ে আসে। সেই গ্যাসেই ঝলসে মারা যান তিনি। ঘটনায় আহত আরও তিন জন। পরে NDRF টিম এসে গ্যাস লিক বন্ধ করে দেয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু প্রশ্ন হল, কী ভাবে এই 'লিক' হল? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।


দুর্গাপুরে যা ঘটল...
গত ডিসেম্বরে এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দুর্গাপুর থানা এলাকার স্টিল টাউনশিপ। সেবার একটি মিষ্টির গোডাউনে গ্যাস লিক করে জোড়া মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন রাতে  গোডাউনে ৮ শ্রমিক ঘুমিয়ে ছিলেন। তখনই গ্যাস লিক করে বলে জানা যায়। দুর্ঘটনায় ৬ কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দরজা ভেঙে সকলকে উদ্ধার করা হলেও দুজনের প্রাণ বাঁচানো যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, দুর্গাপুর থানা এলাকার স্টিল টাউনশিপে একটি মিষ্টির দোকানের পিছনে গোডাউনে থাকছিলেন কর্মচারীরা। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার রাখা ছিল। সেই গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে রাতের বেলায় গ্যাস লিক করে। বড়দিনের আগে তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ওই কর্মচারীরা। এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৮ জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে থেকেই একজন ফোন করে দোকান মালিককে জানায়। দোকান মালিক অন্যান্যদের খবর দিয়ে দরজা ভেঙে ভোরবেলার দিকে তাঁদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।


আরও পড়ুন:কনে-বরপক্ষ ভক্তরাই, শিব পার্বতীর বিয়ে ঘিরে মন্দিরে উপচে ভিড়