কলকাতা: "আজ থেকে আরও নিয়োগপত্র যাচ্ছে। উত্কর্ষ বাংলার লোগো দেওয়া নিয়োগপত্র যাচ্ছে। আজ ১১ হাজার নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। ১৫ তারিখ খড়গপুরে আরও ৭ হাজার নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।'' ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের আওতায় যাঁরা কারিগরি শিক্ষার কোর্সে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের হাতে এদিন নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদ, মালদা, বীরভূম, বর্ধমান, দুর্গাপুর, শিলিগুড়িতেও এই রকম অনুষ্ঠান করা হবে। সব মিলিয়ে ৩০ হাজারের বেশি ছেলেমেয়ের হাতে এই নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কারিগরি শিক্ষায় জোর মমতার: এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেন স্কিলে জোর দিচ্ছি? আজকাল সবকিছুই বাইরে থেকে অর্ডার করতে হয়। বাড়িতে খাবার খাবে সেটা হোম ডেলিভারি পাওয়া যাচ্ছে। বাড়িতে জিনিস তৈরি করে বিক্রি করছেন। হোম ট্যুরিজমের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এই ধরনের প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে। এই বছর প্রথম সাড়ে ৪ থেকে ৫ লক্ষ স্কুলের জামা কাপড় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা তৈরি করছেন। অথবা দর্জিদের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এতদিন এই জামাকাপড় বাইরে থেকে আসত। অর্থাৎ সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরি হয়ে যাচ্ছে। তিন বছর করে অর্ডার পাচ্ছেন তাঁরা। একইসঙ্গে বন্যা, পুজো, ঈদের শাড়ি তাঁতিদের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ৩ বছরের গ্যারান্টি। তাঁরা আজকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সারা দেশে যখন ৪৫ শতাংশ কর্মসংস্থান কমে গিয়েছে, তখন বাংলায় ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বাড়িয়ে বেড়েছে। আর এই স্কিলের আওতায় কয়েক লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।''
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা সাংস্কৃতিক পর্যটনের গন্তব্য, আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মানিত রাজ্য। আগামী ২৩ মার্চ বার্লিনে দেওয়া হবে পুরস্কার। সম্ভব হলে আমি নিজে পুরস্কার নিতে যাব। কন্যাশ্রী ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জে সম্মানিত। বাংলায় ৪৫ হাজার মেয়ে চাকরি পেয়েছে। উত্কর্ষ বাংলা তার উত্কর্ষতার মান রাখছে। ই-মেলে চাকরির নিয়োগপত্র চলে যাচ্ছে। দুর্গাপুজোয় ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। ডেকরেটর, শিল্পীরাই পুজোয় বেশি আয় করেন। ২০০টি-র বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি হচ্ছে। ক্ষুদ্র শিল্পে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ কাজ করছেন। রাজ্যের বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। চাকরি আপনার দরজায় এসে আপনাকে ডাকবে। ৩৪ বছরে রাজ্যে শিল্প তছনছ করা হয়েছিল, সেই শিল্প আজ জাগছে। আমরা সব সময় শিল্প বান্ধব। বাইরে গিয়ে কাজ করুন, অল্প সময় থেকে ফিরে আসুন।''