পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (recruitment scam) দুর্গোৎসব (durga puja) গারদেই (jail) কাটবে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের (Subiresh Bhattacharya)। তাঁর জামিনের আবেদন (bail plea) ফের খারিজ হয়েছে এদিন। আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে (judicial custody) এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান। আর্জি খারিজ সিবিআই হেফাজতেরও। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে।


কী হল এদিন?
সিবিআই-র তদন্তকারী অফিসার এদিন আদালতে জানান, ১ হাজার উত্তরপত্রে নম্বর কারচুপি হয়েছে। তাঁর দাবি, এই উত্তরপত্রগুলিতে নম্বর হেরফের করা হয়েছে। সার্ভার পরীক্ষা করে নম্বর কারচুপির প্রমাণ মিলেছে, দাবি আইও-র। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তদন্তকারী অফিসারের। তবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও। সিবিআই-র আইনজীবীকে একের পর এক প্রশ্ন করেন আলিপুর কোর্টের বিচারক। জানতে চান, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না, অত্যাচার করা হচ্ছে। নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না? এতেই শেষ নয়। বিচারকের প্রশ্ন ছিল, কেন সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে একদিনের জন্যও ডাকা হয়নি? জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? জবাবে তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানানস ২১ তারিখ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলাম। বিচারকের পাল্টা প্রশ্ন ছিল, 'তার মানে ২২ থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ হয়নি?' এর পরই সুবীরেশকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন বিচারক। বলেন, ‘হেফাজতে কেন দেব? মেয়াদ ফুরোলে আবার তো একই কথা বলবেন!’ জিজ্ঞাসাবাদে উনি সহযোগিতা করছেন না, পাল্টা দাবি করে তদন্তকারী সংস্থা। যদিও সে যুক্তি কার্যত মানতে চাননি বিচারক। বলেন, 'আপনারা প্রশ্ন করলে তবে তো উনি সহযোগিতা করবেন'। সবশেষে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে। 


আরও প্রশ্নের মুখে...
সিবিআই হেফাজতে থাকার ৭ দিন পর সোমবার ফের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার প্রাক্তন সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। যেখানে তাঁকে নির্ধারিত সময়ের থেকে কিছুটা দেরিতে আদালতে পেশ করার জন্যও বিচারকের তিরস্কারের মুখে পড়তে হয় আইওকে। ‘আদালতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে আনতে কেন দেরি হল ? নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর আদালতে হেঁটে আসলেও এরকম হয় না’, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে আলিপুর আদালতে পেশ নিয়ে আইও-কে প্রশ্ন আদালতের। দিনের শেষে আপাতত তাঁকে জেল হেফাজত দিল আলিপুর আদালত। 


আরও পড়ুন:অস্থায়ী কর্মীদের দাবি মেনে মাসে ২৬ দিন কাজের প্রতিশ্রুতি, বড় ঘোষণা পরিবহণমন্ত্রীর