বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (Central Govt Projects) নাম পরিবর্তন করা নিয়ে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার নন্দকুমারে 'কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের প্রকল্পের ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরী'-র অভিযোগে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।' 'প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব', অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে (TMC Leader Sukumar Dey)।
রাজ্যেজুড়ে একাধিক দূর্নীতি ই্যসুতে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। কখনো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করে তা রাজ্যের বলে চালানোর অভিযোগ, কখনো আবার হিসেব না দেওয়ায় একশো দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে বলে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের টাকায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে তৃণমূল পার্টি অফিস করেছে, বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার নন্দকুমারের কড়কের একটি রক্তদানের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নন্দকুমার বিধানসভা এলাকার কল্যাণপুর অঞ্চল তৃনমুল কংগ্রেসের এই অফিসটিকে কেন্দ্র করে দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, ১০০ দিনের টাকায় এই পার্টি অফিসটি তৈরী করা হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়েছে নন্দকুমারের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে।
আরও পড়ুন, 'টাকা দেন বলেই, পুজো উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী', বলেন দিলীপ, ১১-র আগের কথা মনে করালেন কুণাল
জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বিষয়ে, তত্ত্বতালাশ করতে পূর্ব মেদিনীপুরে উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি ঘোরেন কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসাররা। উপভোক্তাদের বাড়ি ঘুরে দেখতে এসে এক অফিসারকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, 'এই বাড়িটায় সরকারি সাহায্য পেয়েছেন ? কী সাহায্য পেয়েছিলেন ?' উপভোক্তা মহিলা জানান প্রথমে মিলেছে ৬০ হাজার। তাতে ছাদ ঢালাই দেওয়া হয়। এরপর কখন কী টাকা পেয়েছেন তার হিসেব দেন ওই মহিলা। অফিসারের পাল্টা প্রশ্ন, 'মানে ১ লক্ষ ১০ পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার, না রাজ্য সরকার, কে দিয়েছে টাকাটা ?' এই প্রশ্নের উত্তর নেই ওই মহিলার কাছে।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে গ্রামীণ সড়ক যোজনা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের নাম বদল ঘিরে, কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। কেন্দ্রের প্রকল্পে রাজ্যের নাম রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন অফিসাররা। সম্প্রতি বিজেপি বিধায়ক ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটে লেখেন, 'প্রকৃত ঘটনা জানতে, একটি ইন্সপেকশন টিম পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রক। যদি সত্য প্রকাশ্যে চলে আসে, এই আশঙ্কায় রাতারাতি রং করে বা, পেস্টিং করে, কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম সংশোধন করেছে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার।'