কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: হাইকোর্টের (high court) নির্দেশের পরেই হাতে চাকরির (job) সুপারিশপত্র (recommendation letter)। ১৮৫ জনকে চাকরির সুপারিশপত্র দিল প্রাথমিক পর্ষদ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে পাঠানো হল সুপারিশপত্র। ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগপত্র পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৪-র টেটে ৬টি প্রশ্নে ভুল থাকা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা (case)।
যা জানা গেল...
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে ঘোষণা করা হয়েছে যে ১৮৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে পাঠানো হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ আগামী সোমবারের মধ্যে সকলকে নিয়োগপত্র দেবে। গত ৫, ৬ এবং ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ১৮৭ জনকে নিয়োগ করতে হবে। এর পরই সোমবার তড়িঘড়ি ইন্টারভিউ ডাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাঁদের নথি পরীক্ষার পর ১৮৭ জনের মধ্যে ১৮৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। পুজোর আগেই এঁরা প্রত্যেকে নিয়োগপত্র পেয়ে যাবেন বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ২ জনের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি পাওয়া যাওয়ায় আপাতত তাঁদের চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি। এই দুজনের বিষয়ে আদালতকে জানানো হবে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরই এই দুজনের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে খবর।
প্রেক্ষাপট...
২০১৪ সালে এই পরীক্ষার্থীরা প্রাথমিক টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে তার ফলপ্রকাশ হয়। কিন্তু সেই পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল, এই মর্মে হাইকোর্টে একটি মামলা হয়। এবং সেই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলার পর ২০১৮ সালে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ওই ৬টি প্রশ্নের যাঁরা উত্তর দিয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে নম্বর দিতে হবে। কিন্তু ৫৪ জন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, তাঁদের ওই প্রশ্নগুলির নম্বর দেওয়া হয়নি। তাঁরা টেট পাশ করতে পারেননি। সার্বিক প্রেক্ষাপটে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ১৮৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশপত্র দিতে হবে। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই গত সোমবার ইন্টারভিউ হয়। তার পর আজ ১৮৫ জনের নিয়োগের সুপারিশপত্র দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পুজোর আগে তাঁদের হাতে চাকরির চিঠি পৌঁছে যাবে বলে একরকম নিশ্চিত প্রশাসন। উল্লেখ্য, এর পর দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন ও অনিশ্চয়তার অনেকটাই অবসান হবে, আশা একাংশের।