পূর্ণেন্দু সিংহ: প্রতি বছর বর্ষা বিদায় নেওয়ার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মতো বাঁকুড়াতেও (Bankura) ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দেখা যায়। এবারও তার অন্যথা হল না। এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়া শহরে ১৯ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। আর তারপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে কোমর বেঁধে নামল বাঁকুড়া পুরসভা।


আরও পড়ুন: RG Kar Case: '৬ অগাস্টের স্বাস্থ্য দফতরের অর্ডার কপির মধ্যে লুকিয়ে আরজি কর কাণ্ডের রহস্য,' কী আছে কপিতে ?


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা বিদায় নিতেই এবারও ডেঙ্গি থাবা বসিয়েছে বাঁকুড়া শহরে। ইতিমধ্যেই শহরে ১৯ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার মধ্যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমেছে বাঁকুড়া পুরসভা। নানা রকম প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কোথাও যাতে নোংরা জল জমে না থাকে তার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন: RG Kar Case : ঘিরে ফেলল কেন্দ্রীয় বাহিনী, গাড়িতে তুলল ED, সেমিনার হলে ভাইরাল ভিডিয়োর সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ প্রসূন আটক


বাঁকুড়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেঠারডাঙা এলাকায় গতবছর কার্যত মহামারির আকার নিয়েছিল ডেঙ্গি। আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। যা নিয়ন্ত্রণ করতে  রীতিমত হিমশিম খেতে হয় বাঁকুড়া পুরসভাকে। এবার তাই শুরুতেই ডেঙ্গির সংক্রমণে লাগাম পরাতে উঠে পড়ে লেগেছে বাঁকুড়া পুরসভা। পুরসভার তরফে ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ার কেঠারডাঙা এলাকায় শিবির করে রক্তর নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় সাফাই কাজ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতেও বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে বাঁকুড়া পুরসভা।


আরও পড়ুন: Sukhendu Sekhar Ray: "জনস্বার্থ মামলায় হস্তক্ষেপের জায়গা নেই অভিযুক্তের", সুপ্রিম নির্দেশের পর সন্দীপকে কটাক্ষ সুখেন্দুশেখরের


সেই সঙ্গে ওই এলাকায় শুরু হয়েছে মশানাশক স্প্রে করার কাজও। শুক্রবার সকালে সমস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান বাঁকুড়ার পুরপ্রধান ও উপ পুরপ্রধান সহ পুরসভার পদাধিকারীরা। সবকিছু খতিয়ে দেখার পর পুরসভার দাবি, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও আতঙ্ক কাটছে না সাধারণ মানুষের। আসলে গত বছরের স্মৃতি তাঁদের চিন্তা বাড়িয়েছে।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: RG Kar Sandip Ghosh Case : সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা সন্দীপের ! আবেদনে সাড়া দিল না সর্বোচ্চ আদালত