পুরুষোত্তম নারায়ণ পণ্ডিত, কলকাতা : আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর আবেদন খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। আর ঠিক এদিনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি আটক করল সন্দীপ ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। কে এই প্রসূন? ৯ অগাস্ট আরজি করে দেহ উদ্ধারের পরই সেমিনার রুমে গিজগিজে ভিড়ের যে ভিডিও সামনে আসে, তাতেই দেখা গিয়েছিল প্রসূনকে। তিনি আর জি কর মেডিক্যালের কেউ না হয়েও কী করছিলেন সেইসময় সেমিনার হলে, ওঠে প্রশ্ন। এই প্রসূন সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত কলেজের পড়ুয়াদের কাছে ।
প্রসূনের বাড়িতে শুক্রবার সকালেই হানা দেয় ইডি। সুভাষগ্রামে তাঁর বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পরে নাকি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এরপরই প্রসূনকে আটক করে ইডি। তাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী কার্যত ঘিরে গাড়িতে তোলে। আর প্রতিবেশী মহলে রব ওঠে, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। প্রসূনের প্রতিবেশীদের দাবি, যদি কোনওরকম অন্যায় করে থাকে শাস্তি হোক। 'আমরা পাশাপাশি থাকি, আমাদেরও মেয়ে আছে' , মন্তব্য প্রতিবেশীর।
সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর আরও চাপে এখন সন্দীপ ঘোষ। এখন ইডি-র স্ক্যানারে সন্দীপ ও তাঁর শাগরেদরা। আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় শুক্রবারই সকাল থেকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, সল্টলেক-সহ মোট ১০টি জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। তারমধ্যে ছিল প্রসূনের বাড়িও।
আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আরেক ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ প্রসূনের বাড়িতে পৌঁছন তদন্তকারীরা। এর আগে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের পর, সেমিনার হলের ভাইরাল ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছিল প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। প্রসূন আদতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। সন্দীপ ঘোষ সেখানে সুপার থাকাকালীন প্রসূন চাকরি পান। আর জি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হওয়ার পর, সন্দীপের সঙ্গেই দেখা যেত প্রসূনকে। নিজেকে সন্দীপ ঘোষের PA বলে পরিচয় দিতেন প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। ভাইরাল ভিডিয়োয় তাঁকে দেখা যাওয়ার পর থেকেই তদন্তকারী অফিসারদের নজরে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন : 'সব মিথ্যে, কিচ্ছু করেনি', ইডির জন্য বাড়ির তালা খুলে, কোন বিস্ফোরক দাবি সন্দীপের স্ত্রীর?