রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার মুর্শিদাবাদেই। গত কয়েকমাসে এই নিয়ে একাধিকবার এই জেলার নাম উঠেছে। নওদায় উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধারকাণ্ডে (Fire Arms) গ্রেফতার ২। রাতের অন্ধকারে নওদায় হাত বদলের আগে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি।


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শুক্রবার রাতে নওদা থানার আমতলা বাজার  এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাঘুরির সময় দুজনকে আটক করে পুলিশ। তল্লাশি চালাতেই তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ৭.৬৫ এম এম পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃত শফিউল মন্ডল, তৈয়ব আলী মন্ডল নওদার সোনাটিকুরি এলাকার বাসিন্দা। শনিবার ধৃতদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন চেয়ে বহরমপুর জেলা আদালতে পাঠায় পুলিশ। কী কারণে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই দুজন,  তা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি সদ্য কদিন আগেই এই জেলা থেকে গভীর রাতে নবগ্রামের কানফলা এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছে একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। ধৃতদের নাম জিয়ারুল শেখ ও দুলাল শেখ। 


সম্প্রতি বীরভূমের নানুরের (Nanoor) পাকুড়হাস গ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল(Fire Arms)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সফিক শেখকে গ্রেফতার করেছিল নানুর থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি ৯ মিমি পিস্তল, দুটি ৭.৬৫ মিমি  পিস্তল, ৫ রাউন্ড ৮মিমি কার্তুজ, ২ রাউন্ড ৯ মিমি কার্তুজ, ৬ রাউন্ড ৭.৬৫ মিমি কার্তুজ, ৬ কেজি গান পাউডার, ৪ কেজি ইয়েলো গান পাউডার উদ্ধার করেছিল পুলিশ। অপরদিকে, নলহাটি থানার নাচপাহাড়ি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছিল একাধিক অস্ত্র। বীরভূমের সাঁইথিয়ার গ্রামে দু-পক্ষের বোমাবাজিতে হাত-পা উড়ে গিয়েছিল এক যুবকের। গুরুতরভাবে জখম হয় এক নাবালকও। সেই ঘটনায় সেবার আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। ফের সেই জেলাতেই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছি।   নাচপাহাড়ি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২টি নাইন এমএম, একটি ওয়ান শটার ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ১ জনকে।


আরও পড়ুন, 'পুলিশ না থাকলে TMC-কে খুঁজে পাওয়া যাবে না', ফের শুভেন্দুর নিশানায় মমতা


মূলত যেখানে ওই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল, ওই এলাকাটি ঝাড়খণ্ড সীমানার কাছে বলে জানা যায়। সেখানে বাইকআরোহীকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে ওই ব্যক্তির ব্যাগ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে ২টি নাইনএমএম ও একটি ওয়ান শাটার ছিল। এছাড়াও তার কাছ থেকে ১১ রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছিল।কী কারণে এই অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। কোথায় যাচ্ছিল। তারই খোঁজ করার চেষ্টা চালিয়েছিল পুলিশ। কারও কাছে কী অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা ছিল ? সেটাও খতিয়ে সেবার পুলিশ। তবে এত অস্ত্র আসছে কোথা থেকে, বারবার এই প্রশ্ন উঠে আসছিল। সিউড়িতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে এসে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেছিলেন, 'ঝাড়খণ্ড থেকে প্রচুর অস্ত্র ঢুকছে বীরভূমে।'