প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: কয়লা পাচার মামলায় গ্রেফতার আরও ২। এই প্রথম সিআইএসএফের একজন ইন্সপেক্টর গ্রেফতার। ইসিএলের প্রাক্তন আধিকারিক সুনীল কুমার ঝাকেও গ্রেফতার করল সিবিআই।


কয়লা পাচার মামলায়, এবার গ্রেফতার হলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী CISF-এর ইন্সপেক্টর এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ECL-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর। দুজনকেই গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে যোগসাজশ করে বিপুল অঙ্কের টাকা পকেটে পুরেছেন ধৃতরা। জেরায় বহু প্রশ্নের সদুত্তরও দিতে পারেননি তাঁরা।কয়লা পাচার মামলায় এবার কেন্দ্রীয় এজন্সির হাতে গ্রেফতার হলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বর্তমান আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রাক্তন কর্তা।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ CISF-এর ইন্সপেক্টর আনন্দ সিংহ এবং কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রকের ECL-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর সুনীলকুমার ঝা-কে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। কয়লামন্ত্রকের অধীনস্থ ECL’এর খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা CISF এবং ECL’এর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী। অভিযোগ উঠেছে, খনি থেকে, কয়লা মাফিয়া, ECL আধিকারিকদের একাংশ এবং রাজনীতিবিদদের যোগসাজশে বেআইনিভাবে বেশি পরিমাণ কয়লা তোলা হত। তারপর তা লরিতে বোঝাই করে বার করে দেওয়া হত। 


সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাদের থেকে প্রোটেকশন মানি বাবদ মোটা টাকা নিতেন CISF-এর ইন্সপেক্টর, ধৃত আনন্দ সিংহ। বিনিময়ে তিনি কয়লা মাফিয়াকে সুবিধা পাইয়ে দিতেন বলে অভিযোগ। বেআইনি কয়লা পাচারের টাকা ধৃত ECL-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর সুনীলকুমা ঝা-র কাছেও পৌঁছেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। 


বৃহস্পতিবার এই দুজনকে ডেকে পাঠানো হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে আসা নথি এবং কয়েকজনের বয়ানের কপি দেখিয়ে তাঁদের প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু, বেশিরভাগ প্রশ্নেই তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলে সিবিআই সূত্রে খবর।


এরপরই CISF-এর ইন্সপেক্টর আনন্দ সিংহ এবং ECL-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর সুনীলকুমার ঝা-কে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর তারপরই কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়ে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কয়লা খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা সিআইএসএফ, তাদের উপস্থিতিতে কয়লা পাচারের ঘটনা ঘটলে তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কেলেঙ্কারি বলেও তোপ দেগেছিলেন তিনি। কিন্তু, এবার কয়লাকাণ্ডের তদন্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী CISF-এর ইন্সপেক্টর ও কেন্দ্রীয় সংস্থা ECL-এর প্রাক্তন ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করল সেই সিবিআই। এরপরেই বিজেপির প্রশ্ন, সিবিআই পক্ষপাতদুষ্ট হলে, কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের গ্রেফতার কেন করবে?


এর আগে গরু পাচার মামলায় আর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই, ইডি দুই এজেন্সিই। সিবিআইয়ের চার্জশিটেও বলা হয়েছে, BSF আধিকারিকদের একাংশের প্রত্যক্ষ যোগসাজশে ভারত থেকে নদীপথে বাংলাদেশে পাচার হত গরু।


আরও পড়ুন: খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখেন? কোন কোন খাবারে এমন করতেই হবে?