রামপুরহাট: কোটিপতি কনস্টেবলের (Constable) গ্রেফতারিতে নতুন তথ্য সামনে এল। '২০১২-২০১৫ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে ২১ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করেন মনোজিৎ বাগীশ (Monojit Bagish)। পরে সেই টাকা তুলেও নিয়েছিলেন তিনি, দাবি দুর্নীতি দমন শাখার। এখনও সন্ধান মেলেনি কোটিপতি কনস্টেবলের বান্ধবীর। দুর্নীতি দমন শাখার দাবি  হাওড়ার (Howah) বাড়িতে গিয়ে মেলেনি সন্ধান, । আজ মনোজিৎ বাগীশের জেল হেফাজত একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। 


বীরভূমের কোটিপতি কনস্টেবল: নাম মনোজিৎ বাগীশ। রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার দাবি,  বান্ধবীকে শুধু ১২ লক্ষ টাকার গাড়িই নয়, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২১ লক্ষ টাকাও দিয়েছিলেন রামপুরহাটের ধৃত পুলিশ কনস্টেবল। এ দিন ধৃত কোটিপতি কনস্টেবলকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 


আর রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার হাতে ধৃত রামপুরহাট থানার কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশের সম্পর্কেই আগেও আরও চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছিল।  গত বছর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা ও গয়না উদ্ধারের ছবি চোখ কপালে উঠেছিল বাঙালির! কিন্তু মনোজিৎ বাগীশের বিষয়টি সামনে চলে আসার পর থেকে অনেকে বলতে শুরু করেছেন, শুধু প্রাক্তন মন্ত্রীর বান্ধবী হলেই কোটিপতি হওয়া যায় না! একজন কনস্টেবলের বান্ধবীও লাখপতি হতে পারেন। 


পুলিশ সূত্রে দাবি, বান্ধবীকে উপহার দেওয়া গাড়ির ট্যাক্স ভাউচারে যে ঠিকানা দেওয়া আছে, সেখানে গিয়ে খোঁজ মেলেনি । আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে, শনিবার বীরভূমের রামপুরহাট থানার কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। তাঁর সম্পত্তি চোখ কপালের তোলার মতো। ৭৬ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট! ১০ লক্ষ টাকার জীবন বিমা। বান্ধবীকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার গাড়ি উপহার! বান্ধবীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও প্রাসাদের মতো বাড়ি। SUV, কী নেই। 


১৯৯৮ সালে পুলিশে চাকরি পান মনোজিৎ বাগীশ। পুলিশ সূত্রে,'বাগীশ' কনস্টেবলের বেতন এখন মেরেকেটে ৪৪ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা হতে পারে! অথচ মাত্র চার বছরেই কোটিপতি হয়েছেন রামপুরহাট থানার মনোজিৎ। কোন জাদুবলে! কোন জাদুবলে ৪ বছরে কোটিপতি হয়ে গেলেন কনস্টেবল? নেপথ্যে প্রভাবশালী যোগ? কোন জাদুবলে ৪ বছরে কোটিপতি হয়ে গেলেন কনস্টেবল?