রণজিৎ সাউ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিনামূল্যে স্বাস্থ্যবিমার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে বারুইপুরের মল্লিকপুর থেকে গ্রেফতার ৩। অভিযোগ, বিদেশিদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যবিমা করার নাম করে প্রতারণা করা হত। সেই ঘটনায় শনিবার রাতে মল্লিকপুরে হানা দিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


কী জানা গেল?
প্রাথমিক তদন্তে যা জানা গিয়েছে, তাতে অবাক হয়ে যাচ্ছেন পোড়খাওয়া আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, ধৃতদের থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার মেশিন, মাউথ হেডফোন, মোবাইল, নগদ ২০ হাজার টাকা এবং একাধিক ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা ভারতের বাইরে একাধিক দেশ থেকে 'ক্লায়েন্ট' জোগাড় করত। তার পর তাঁদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য়বিমা করে দেওয়ার নাম করে গোপন তথ্য সংগ্রহ করত। এর পরই তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাপিস হয়ে যেতে। অভিযোগ, ধৃত তিন জনই গোপন তথ্য় ব্যবহার করে এই কাজ করত। তিন জনের প্রতেকেরই বাড়ি বারুইপুর থানা এলাকায়। এর আগেও এভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানোর ঘটনায় নাম উঠে এসেছে বারুইপুরে। গত জুলাইয়েই যেমন, এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে ৩৩ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়।


নতুন নয়...
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের সুবুদ্ধিপুরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নন্দলাল নস্করের অভিযোগ করেছিলেন, জুলাই মাসে ১৯, ২০ ও ২১ তারিখে SBI-এর বারুইপুর শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তিন দফায় ৩০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। ২৫ জুলাই সাইবার ক্রাইম-সহ বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষক। অভিযোগ, পরের দিন ২৬ জুলাই, ফের তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে ৩ হাজার গায়েব হয়ে যায়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ও থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও এভাবে টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত শিক্ষক। এই ঘটনার কিছুদিন আগে কলকাতায় ভুয়ো কল সেন্টারে বসে আমেরিকার নাগরিককে ৩৩ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। ৫ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, ই-কর্মাস সাইটের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়। সেই ভয় দেখিয়ে এক মার্কিন নাগরিককে অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে অ্যাকাউন্ট ৪০ হাজার মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ই-কর্মাস সংস্থার তরফে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিষয়টি সিবিআইকে জানানো হয়। সিবিআই কলকাতা পুলিশকে তদন্তভার হস্তান্তর করে। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এর পর সেক্টর ফাইভে হানা দিয়ে ভুয়ো কল সেন্টার থেকে চক্রের মূল পাণ্ডা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু নথি। 


আরও পড়ুন:রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭০৯, প্রশাসন ব্যর্থ বলে তোপ শুভেন্দুর