পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: মাঝরাতে কলকাতার কাশীপুর (Kashipur) এলাকায় একজন প্রোমোটারের অফিসে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর ও ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ মণ্ডল সহ গ্রেফতার হল আরও তিন জন (Kolkata News)। তাদের জেরা করে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে কলকাতার কাশীপুর একজন প্রোমোটারের অফিস ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ মণ্ডল ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। প্রথমে ফোন করে আক্রান্ত ব্যবসায়ীকে ৫ লক্ষ টাকা তোলা দেওয়ার জন্য চাপ দেয় অভিজিৎ মণ্ডল ওরফে রানা। জয়ন্ত সিং ও কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের ঘনিষ্ট বলে নিজের পরিচয় দেয়। তারপরও ওই প্রোমোটার টাকা দিতে অস্বীকার করায় বৃহস্পতিবার মাঝরাতে রানা কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে এসে তাঁর অফিসে চড়াও হয়ে ওই ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি অফিসে ভাঙচুরও চালায়। এরপরই অভিজিৎ মণ্ডল ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত প্রোমোটার। তারপরেই তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। এবার মূল অভিযুক্ত সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হল। ফলে এই ঘটনায় গ্রেফতার সংখ্যা বেড়ে হল ৬ জন।
তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে প্রথমে কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষ ঘনিষ্ট অভিজিৎ মণ্ডল ওরফে রানার তিনজন সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়। এবার রানা ও তার আরও দুই সঙ্গী জিতেন ও কানুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রানাকে খড়গপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর
এপ্রসঙ্গে অতীন ঘোষ জানান, অভিজিৎ মণ্ডল তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান ছেলে। তবে অপরাধ করলে ওকেই তার দায় নিতে হবে।
অন্যদিকে বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছে, গোটা রাজ্যেই এইভাবে তোলাবাজি চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। কোথাও জেসিবি তো কোথাও জয়ন্ত সিংহ। সর্বত্রই একই অবস্থা। তৃণমূলের অনুপ্রেরণা ও পুলিশের মদতে গোটা রাজ্যে এভাবেই তাণ্ডব চালাচ্ছে ওরা। কোচবিহার কিংবা উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া অথবা সন্দেশখালি থেকে আড়িয়াদহ। সবর্ত্র একই পরিস্থিতি চলছে।