ঋত্বিক প্রধান, পটাশপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) পটাশপুরে (Patashpur) চোর সন্দেহে মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক মহিলা সহ তিনজন। বুধবার আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


আরও পড়ুন: Coochbehar Medical College: কোচবিহার মেডিক্যালে 'থ্রেট কালচার', খোদ BMOH-কেই 'No Entry' ! নিষেধাজ্ঞা আরও এক চিকিৎসককে


প্রতিবেশী এক বৃদ্ধার হার চুরি করেছে সন্দেহে পটাশপুরে একজন গৃহবধূকে সিভিক ভলান্টিয়ারের সামনেই বিবস্ত্র করে গণপিটুনি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ওই গৃহবধূর দাবি, হার চুরির ঘটনায় তাঁকে  প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রতিবেশীরা। তিনি প্রতিবেশীদের জানিয়ে দেন, তিনি হার চুরি করেননি। এব্যাপারে তাঁরা পুলিশকে ডাকতে পারেন। যাকে খুশি ডাকতে পারেন। এরপরেই তাঁর উপর চড়াও হন প্রতিবেশীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তাঁকে প্রচণ্ড পরিমাণে মারধর করা হয়। তাতে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পটাশপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। পরে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় স্থানীয় এলাকায়। 


আরও পড়ুন: RG Kar News: টালা থানাতেই ধর্ষণ-খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাটে ভুয়ো নথি তৈরির ছক ? বিস্ফোরক দাবি CBI-এর


পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার এক মহিলা সহ তিনজনকে ওই গৃহবধূকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে। বাকি অভিযুক্তদেরও তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য। ঠিক তখনই পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে একজন গৃহবধূকে চোর সন্দেহে সিভিক ভলান্টিয়ারের সামনেই বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল তৈরি হয়েছে। রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নেই বলে শাসকদলকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। এর মাঝেই পটাশপুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মহিলা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি বিস্তারিত তদন্তও চলছে।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: CESC Threat Culture : থ্রেট কালচারের ছায়া কি CESC-র অফিসে? তরুণীর কাছে 'বদলির জন্য টাকার দাবি থেকে মারধর'