প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাঁটিতে একটি কারখানার ম্যানেজারকে (factory manager) মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের (Local TMC Leaders) বিরুদ্ধে। তাঁর এফআইআরের ভিত্তিতে ৩ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার (arrested) করেছে পুলিশ। এই ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেয় না দল। কড়া বার্তা ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের। কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।


শিল্প-আধিকারিককে ‘মার’


মাথায় ব্যান্ডেজ, হাতে ব্যান্ডেজ, পায়ে ব্যান্ডেজ অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যিনি শুয়ে আছেন, তিনি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে নীলকান্ত ফেরো লিমিটেড নামে এক কারখানার ম্যানেজার পদে কর্মরত। অভিযোগ, শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের শর্ত না মানায় বুধবার এই আধিকারিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ। 


বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির নীলকান্ত ফেরো লিমিটেডের ম্যানেজারের নাম রামপদ কর্মকার। কারখানার আক্রান্ত ম্যানেজার সরাসরি কোনও দলের নাম নেননি। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই এলাকায় তৃণমূল করে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। যদিও, তৃণমূল নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 


গঙ্গাজলঘাঁটির তৃণমূল নেতা আদিত্য মণ্ডলের কথায়, 'আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু প্ল্যান্টের ম্যানেজার মিথ্যে কথা বলছে, নাটক করছে। আমরা স্থানীয় বাসিন্দা, কাজ চাইতে গিয়েছিলাম। আমরা মারধর করিনি। ব্লক প্রেসিডেন্টকে জানিয়েই গিয়েছিলাম।' 


এদিকে, শিল্প সংস্থার আধিকারিকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কর্মকার বলেন, 'ওই তৃণমূল কর্মীরা সবাই বরসান অঞ্চলে থাকে। তারা আমাকে কিছু জানিয়ে যায়নি। এরকম ঘটনাকে পার্টি প্রশ্রয় দেয় না। শুনেছি, চাকরি চাইতে গিয়েছিল। পুলিশ যেটা ভাল বুঝবে করবে।'


আরও পড়ুন: Jalpaiguri News: ভেস্তে গেল মাদক পাচারের ছক, জলপাইগুড়িতে উদ্ধার ৩ কুইন্টাল গাঁজা


আপাতত বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে (Bankura Medical College and Hospital) ভর্তি কারখানার ম্যানেজার। বৃহস্পতিবার গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে FIR দায়ের হয়। ৩ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। জামিন অযোগ্য ধারায় রুজু হয়েছে মামলা।