অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বউবাজার (Bowbazar) বিপর্যয়ের ৩ বছর। মেট্রোর (Kolkata Metro) টানেল তৈরির কারণে, তিন বছর আগে, ৩১ অগাস্ট প্রথম ধসে গিয়েছিল বউবাজারের(Bowbazar) একাধিক বাড়ি। এবার, অভিযোগ জানানোর জন্য, একত্রিত হয়ে মঞ্চ গঠন করলেন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দারা। অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের দাবিতে অনশনও করেন তাঁরা।


বউবাজার বিপর্যয়ের ৩ বছর: আশ্রয়হীন হওয়ার ৩ বছর, মাথার ওপর থেকে ছাদ চলে যাওয়ার ৩ বছর, অনিশ্চয় জীবন-যাপনের ৩ বছর। ৩১ অগাস্ট, ২০১৯, তিন বছর আগে, এমনই এক দিনেই, বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেন, স্যাঁকরাপাড়া লেনের ওপর নেমে আসে বিপর্যয়। তিন বছর পর, এদিনেই, গঠিত হল বউবাজার সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। ঘর হারাদের সংগঠন, যাঁরা কিনা, নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে একজোট হয়ে লড়বেন। গতকাল প্রতীকী অনশনে বসেছেন তাঁরা।


তিনবছর আগে, ৩১ অগাস্ট রাতে, বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে বউবাজারের একাধিক বাড়ির অংশ। সঙ্গে ধুলোর ঝড়, EAST WEST মেট্রোর সুড়ঙ্গ নির্মাণে বিপত্তির জেরে, এই মানুষগুলোর জীবনে নেমে আসে চরম অনিশ্চয়তা। একটার পর একটা পরপর বাড়িতে ফাটল ধরতে থাকে, একনিমেষে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় সুখী গৃহকোণ। কারও ঠিকানা হয়ে যায় অস্থায়ী হোটেল। কারও রুটিরুজিতে কোপ পড়ে।এরপর একাধিকবার সারানো হয়েছে বিপদগ্রস্ত বাড়ি। কিন্তু মেট্রোর কাজের জন্য বারবার সেখানে চিড় ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, কয়েকজন আর্থিক সহায়তা পেলেও, অধিকাংশই তা পাননি। মেলেনি বিকল্প বাসস্থান। বারবার জানানো সত্ত্বেও, মেট্রো কর্তৃপক্ষ কর্নপাত করছে না বলে অভিযোগ।এই পরিস্থিতিতে একজোট হয়ে, সমস্যার কথা জানানোর জন্য ভাবনা এই সংগঠনের।


এদিন, আশ্রয়হীন আন্দোলনকারীদের মঞ্চে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর। কলকাতা পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, “সতর্ক হলে ২০২২-এর ঘটনা ঘটত না। লাগলে আইনের পথে যাব।’’ কবে আবার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে পারবেন এই মানুষগুলো? কবে পাবেন আর্থিক সাহায্য?  কবে সারানো হবে তাঁদের বাড়ি? একাধিক প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় এই অসহায় মুখগুলো।


আরও পড়ুন: East Midnapore: মিড ডে মিলে কারচুপির অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীকে শোকজ