সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: শ্মশানে শবদেহ দাহ করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হলেন ৪ জন।  সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ গুরতর আহতদের মধ্যে ২ জনকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (Raignaj Medical College and Hospital) ভর্তি করানো হয়। বাকি দুজনকে স্থানীয় মহারাজা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Health Centre) ভর্তি করানো হয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অগ্নিদগ্ধ ২ জনের নাম রাজকুমার বর্মন এবং সন্দীপ সরকার। দু'জনের বাড়ি রায়গঞ্জের জাউনিয়া এলাকায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জাউনিয়া এলাকায় শিবু সরকার নামের এক ব্যক্তি মারা গেলে এলাকার মানুষ শিবু সরকারের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে শ্মশানযাত্রী হয়ে যান। দাহের কাজ শুরু করার পর কিছু শ্মশানবন্ধু আগুন পোহাচ্ছিলেন। আচমকাই পাশে রাখা পিচের রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহৃত রাসয়ানিকের সঙ্গে আগুনের সংস্পর্শ হওয়ায় বড় আকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটে। রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। তাতেই  ৪ জন শ্মশানযাত্রী আহত হন।


প্রসঙ্গত, রাজ্যে এর আগেও একাধিক মর্মান্তিক ঘটনা আছে শ্মশানযাত্রীদের জুড়ে। এর আগে মালদা জেলায়, শ্মশানে সৎকার সেরে বাড়ি ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক শ্মশান যাত্রীর। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন চারজন। আহতদের মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল  মালদা জেলার পুরাতন মালদা থানার সাহাপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়।  গাজোল থানার বোলবাড়ি এলাকায় বানেশ্বরী মন্ডল বয়স (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর গ্রামের প্রায় ৩০ জন ছোট লরিতে করে মালদার সদুল্লাপুর মহাশ্মশানে সৎকার করতে গিয়েছিলেন। সৎকার সেরে বাড়ি ফেরার পথে সাহাপুর বাইপাসে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে ধাক্কা মারে শ্মশান যাত্রীদের লরিটি।


আরও পড়ুন, মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান সুজিত বসু-সহ ৪ মন্ত্রীর


এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন পাঁচজন। স্থানীয়রাই এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। চিকিৎসা চলাকালীন ভোররাতে মৃত্যু হয়েছিল অভয় মন্ডল নামে এক শ্মশান যাত্রীর। পুলিশ জানিয়েছিল, মৃত শ্মশান যাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছিল গ্রামে।অতীতে রঘুনাথগঞ্জ শ্মশানের আত্মীয়ের মৃতদেহ সৎকার ফেরার পথে ঘটেছিল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রাক্টরের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল নলহাটির (Nalhati) ৩ বাসিন্দার। পুলিশ সূত্রে খবর, দাহ করে ওই পিক আপ ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন নলহাটির ৪০ জন বাসিন্দা। সেইসময় উল্টোদিক থেকে আসা পাথর বোঝাই ট্রাক্টটের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ৩ জনের।