কলকাতা: চুল পড়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তাই চুলের যত্ন নিতে হাজার একটা দিকে খেয়াল রাখতে হয়। নিয়ম করে স্নান করা, চুল ধোয়া, তার পাশাপাশি শ্যাম্পু করা রোজকার রুটিনের মধ্যে পড়ে। তবে এসব করতে গিয়ে কিছু ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয়। যেমন গরম জলে চুল ভেজান না অনেকে। শীতকাল মানেই এখন গরম জলে স্নান করার সময়। কিন্তু গরম জল অনেকেই চুলে দেন না। কারণ অনেকেই মনে করেন, গরম জল দিয়ে ধুলে পটাপট চুল উঠে যাবে। দুদিন গেলেই টাক পড়ে যাবে মাথায়‌‌। কিন্তু গরম জল দিয়ে স্নান করলে কি সত্যিই চুলের ক্ষতি হয়?  কী বলছে বিজ্ঞান? 


কেন চুলে গরম জল দেবেন (Hair wash with hot water)? 


চুলে গরম জল দেওয়া যায়। আর দিলে কোনও সমস্যাও হয় না। কিন্তু কখন গরম জল দেবেন, তা জানতে হবে। ঠিক সময়ে চুলে গরম জল দিলে অনেক উপকার। চুলে যেদিন শ্যাম্পু করেন, সেদিনই চুলে গরম জল দিন। তার আগে গরম জল কী উপকারে আসে, তা জেনে নেওয়া দরকার‌। বিশেষজ্ঞদের কথায়, গরম জল চুলের গোড়ায় একটি বিশেষ অনুভূতি বা সেনসেশন তৈরি করে। এটি চুলের কিউটিকলগুলি খুলে দেয়। এই কিউটিকলেই ময়লা জমে থাকে। এই ময়লা চুলকে দুর্বল করে দেয়। বাড়তে দেয় না। বরং এর জন্য কিছু ক্ষেত্রে চুল পড়া বেড়ে যায়। এই কিউটিকল খুলে গেলে সেখান থেকে ময়লা সাফ করে দেয় গরম জল। এতে চুলের স্বাস্থ্য আরও ভালো হয় বৈকি।


তাহলে ঠাণ্ডা জল কখন দেবেন (Hair wash with cold water)?


শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার দেওয়ার নিয়ম। এই কন্ডিশনার ধোয়ার সময় ঠান্ডা জল ব্যবহার করতে হবে। ঠান্ডা জলের কাজ গরম জলের ঠিক উল্টো। যে কিউটিকলগুলি খুলে চুলের ময়লা সাফ করেছিল গরম জল, সেই কিউটিকলগুলিকেই বন্ধ করে দেয় ঠান্ডা জল। এতে চুলের গোড়া মজবুত থাকে। একইসঙ্গে স্ক্যাল্পের ময়লা সাফ হয়ে যায়‌। 


দুরকম জলই সমান কাজের! (Hot and cold water for hair wash)


শীতকাল বলে নয়, গরম জল সব ঋতুতেই এই কাজ করে। তাই চুলের যত্ন নিতে দুইরকম জলই সমান কার্যকরী। তবে শুধুই গরম জল দিয়ে স্নান করলে চলবে না। চুল ধোওয়ার সঠিক নিয়মটি মানতে হবে। তবেই চুল ওঠার বদলে আরও পরিষ্কার ও মজবুত হবে। এতে চুলের গ্রোথও বাড়বে।


আরও পড়ুন: Prostate Cancer: প্রস্টেট ক্যানসার বাড়ছে দিন দিন ! কারা এই মারণরোগের ফাঁদে ?