অমিত জানা, নারায়ণগড়: মারুতি ভ্যানের পিছনে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল একটি প্রাইভেট কার। এর জেরে জখম হল একটি শিশু সহ চারজন। বুধবার সকালে মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। জখমদের মধ্যে মারুতি ভ্যানের চালকের আঘাত গুরুতর বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি গাড়িতে কাঁথির এক ব্যবসায়ী আয়ুস ঠক্কর ও তাঁর মা রূপা দেবী খড়গপুর স্টেশনে যাচ্ছিলেন ওড়িশা যাওয়ার ট্রেন ধরতে অন্যদিকে নারায়ণগড় বাইপাস থেকে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে একটি মারুতি ভ্যানে করে একটি শিশু সহ চারজন ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন মেদিনীপুরে। নারায়ণগড় থানা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় আয়ুস ঠক্করের গাড়িটি হঠাৎ মারুতি ভ্যানের পিছনে সজোর ধাক্কা মারে। এর ফলে মারুতি ভ্যানটি দুবার পাল্টি খেয়ে গিয়ে পড়ে রাস্তার ধারে ঝোঁপের মধ্যে। এই দুর্ঘটনার ফলে আয়ুস ঠক্করের মা রূপা দেবী অল্প চোট লাগে অন্যদিকে মারুতি ভ্যানের মধ্যে থাকা একটি শিশু সহ জখম হয় তিনজন। তাদের মধ্যে মারুতি ভ্যানের চালক নিমাই চরণ প্রধানের বুকে স্টিয়ারিং চেপে যাওয়ায় তিনি গুরুতরভাবে জখম হন। খবর পেয়ে জাতীয় সড়়ক কর্তৃপক্ষের লোকজন ও নারায়ণগড় থানার পুলিশ এসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িদুটি থেকে জখমদের উদ্ধার করে স্থানীয় বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে।
সেখানে নিয়ে যাওয়া পর মারুতি ভ্যানের চালক নিমাই চরণ প্রধানের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। বাকি তিনজনের চিকিৎসা চলছে বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তাদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, আয়ুস ঠক্করদের গাড়ি পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারার ফলে দুবার পাল্টি খেয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারুতি ভ্যানটি। সেটিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে আয়ুস ঠক্করদের গাড়ির সামনের অংশ ছাড়া খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বর্তমানে দুর্ঘটনার একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে নারায়ণগড় থানার পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।