করুণাময় সিংহ, মালদা: জাল লটারি চক্রের পর্দা ফাঁস করল মালদার হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। লটারির জাল টিকিট বিক্রির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। এর আগে প্রতিবন্ধীদের জাল সার্টিফিকেটের প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করেছিলেন বিডিও। এবার পর্দা ফাঁস করলেন নবনিযুক্ত আইসি।   


কী কী ঘটল?
লটারি দুর্নীতি নিয়ে অতীতেও তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। ডিয়ার লটারি নিয়েই একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই ডিয়ার লটারির জাল টিকিট বিক্রির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হল। নতুন আইসি দায়িত্ব পেতেই এই গ্রেফতারি। ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, এই রাজ্যে সব কিছুই জাল। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, পুলিশ সক্রিয়। তাই প্রতারকরা গ্রেফতার হয়েছে। লটারির জাল টিকিট বিক্রি করার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, গোপল খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা ও কুশিদা এলাকায় লটারি টিকিট বিক্রির দোকানে হানা দিয়ে ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুলসীহাটা থেকে গোপাল রাম, পুতুল ঢালি ও পবন সাহা বলে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। কুশিদা এলাকা থেকে ধৃতের নাম মনোজ ঘোষ। এদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে সন্দেহে চাঁচল থানার স্বরূপগঞ্জ এলাকা থেকে সুশান্ত কুমার অধিকারী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তরা লটারির জাল টিকিট বিক্রির কথা স্বীকারও করে নিয়েছে বলে পুলিশের দাবি৷
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, 'একটি নামী লটারি সংস্থার নামে এই টিকিট বাজারে বিক্রি করা হত। তাদের হাত ধরে ক্রমশই এই জাল টিকিট বিক্রির প্রবণতা বাড়ছিল। জাল টিকিট চক্রের এজেন্টদের হাত ধরে এই টিকিট পৌঁছে যায় সর্বত্র। প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলির থেকে এই টিকিটের কমিশন বেশি থাকায় বেশ কিছু দোকানদার এই টিকিট বিক্রি করেন। ধৃত পাঁচ অভিযুক্তকে জেরা করে কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে।এই প্রতারণার ব্যবসায় আর কারা কারা জড়িত আছে তদন্ত চলছে।'


ডিয়ার লটারি নিয়ে বিতর্ক...
গত অক্টোবরে লটারির মাধ্য়মে কালো টাকা সাদা করা এবং কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি, তামিলনাড়ু সহ দেশের ২৫টি জায়গায় ডিয়ার লটারির অফিস এবং আধিকারিক ও ডিলারদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয় সে সময়। এর আগে অনুব্রত মণ্ডল  থেকে সুকন্যা মণ্ডল, একাধিকবার লটারি জেতার ক্ষেত্রে নাম উঠে এসেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের বিভিন্ন তদন্তে তাঁদের নাম উঠে আসে। যার পরে বিরোধীরা রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে ওই লটারি সংস্থার যোগের অভিযোগ শানাতে শুরু করে। প্রশ্ন তোলে লটারি সংস্থাটির আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে।


আরও পড়ুন:'পশ্চিমবঙ্গেও এই ছবি দেখতে পারি', কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর বার্তা সুকান্তর