ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্র (JU Student Death) মৃত্যুর ঘটনায় আজ আরও ৫ জন হস্টেল আবাসিককে (Hostel Residents Summoned) তলব করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ৯ অগাস্ট রাতে, হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে টানা চিৎকার শুনতে পান কয়েকজন আবাসিক। কয়েকজন পৌঁছেও যান ওই ফ্লোরে। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে গত কাল রাত পর্যন্ত ২ আবাসিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। আজ আরও ৫ আবাসিককে তলব করা হয়েছে। অন্য দিকে, পুলিশকে বাধা ও গেট আটকানোর অভিযোগে ধৃত যাদবপুরের প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষকে আজ ফের আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিন গেট আটকানো ও ঘটনার বিষয়ে তথ্য গোপন করছেন জয়দীপ। সেই কারণে ওই প্রাক্তনীকে ফের নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।
কী জানা গেল?
যে পাঁচ জনকে তলব করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দ্বিতীয় বর্ষ, তৃতীয় বর্ষ ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের যে বিল্ডিংয়ে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই বিল্ডিংয়েই তাঁরা থাকেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই ৫ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন যাদবপুর থানায় চলে গিয়েছেন। পুলিশের তরফে দাবি, ঘটনার দিন চিৎকারের আওয়াজ শুনে সংশ্লিষ্ট ফ্লোরের সংশ্লিষ্ট করিডোরে এসেছিলেন এই ৫ আবাসিক। সম্ভবত তাঁদের সামনে ঘটনাটি ঘটে, ধারণা পুলিশের। ইতিমধ্যেই ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় আর কারও যোগ রয়েছে কিনা, সেটাও জানতে চাইছে পুলিশ। বিষয়টি বুঝতেই এই ৫ জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রে খবর। করিডোরে কার বা কাদের চিৎকারের আওয়াজ শোনা গিয়েছিল? কী ঘটেছিল তার পর? এই সবই খতিয়ে জানতে চায় পুলিশ। অন্য দিকে, আরও একজন ছাত্র, যাঁকে গেটে পুলিশকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁকে আরও একবার হেফাজতে চাইছে পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা, তিনি আরও কিছু গোপন করছেন। তাই আরও একবার তাঁকে হেফাজতে চাওয়া হচ্ছে।
জরুরি বৈঠক রাজ্যপালের...
এদিন আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়েপরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে আচার্যের তরফে। আজ সকাল ১০.৪০-এ রাজভবনে বৈঠক ডাকেন তিনি। গত ১৬ অগাস্টও জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। ছাত্রমৃত্যুর পর দায় কার? এ নিয়েই এদিনের বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের জরুরি বৈঠক ডাকেন আচার্য তথা রাজ্যপাল।