কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment Case) নিয়ে মামলা নিয়ে বিধানসভায় বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে মামলা করে লাফাচ্ছে। বিজেপির এমপি-এমএলরা-ও তাহলে ছাড় পাবেন না। দাদামণি বলছে ১৭ হাজার লোকের চাকরি খাবে। লাখখানেক চাকরির মধ্যে ৫০-১০০টা কেস ভুল হতেই পারে।’’
নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ: শুধু তাই নয় এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) উদ্দেশে মমতা বলেন, “এই ছেলেগুলোর চাকরি চলে গেলে, যাঁদের চাকরি দাদামণি দিয়েছেন, তাঁদের কী হবে? মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়ায় যাঁদের চাকরি দিয়েছেন, তাঁদের কী হবে? পুরুলিয়ার চাকরি, মেদিনীপুরে নিয়ে গিয়েছিল, আমরা জানি দাদামণি জবাব দেবেন? সরকারে থেকেও করে খাবেন, বিজেপিতেও করে খাবেন?’’
একইসঙ্গে ভুল সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “কাজ করতে গেলে ভুল হয়, ভুল সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে। সংশোধনের জন্য সাড়ে ৫ হাজার পদ সৃষ্টি করেছি। বড় বড় কথা, সিবিআই-ইডি-র ভয় দেখাচ্ছেন। এটা ত্রিপুরা নয় যে, ১০ হাজার চাকরি খেয়ে নিয়েছে। আমরা কারও চাকরি খাই না, চাকরি দিই। তোমরা কোর্টে গিয়ে চাকরি খাও, চাকরি দাও না। বিধানসভায় অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এ প্রসঙ্গে পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক লোককে দিয়ে টাকা তুলিয়েছে। ২০১৩ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেদিন শিক্ষামন্ত্রী হন, সেদিন থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যতদিন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন আর আমি যতদিন তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলাম, একটা চাকরি, ট্রান্সফার তো দূরের কথা, আমার বিধানসভা এলাকা নন্দীগ্রামে কোনও স্কুলের একটা ব্ল্যাকবোর্ডও তাঁর থেকে চাইনি। আর যদি প্রমাণ করে দিতে পারেন, তাহলে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করব।''