প্রকাশ সিনহা ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, তিলজলা রোড: ৭ বছরের নাবালিকাকে (Girl Murder) অপহরণ করে খুনের অভিযোগে হইচই তিলজলা রোডে (Tiljala Road)। এখনও পর্যন্ত ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগে তিলজলা থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করে পরিবার। তাদের দাবি, সিসিটিভিতে পাশের বাড়িতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল নাবালিকাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তল্লাশির পরে ওই নাবালিকার খোঁজ পায়নি পুলিশ। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা, এমনও অভিযোগ উঠেছে। পরে পাশের বিল্ডিংয়ের ১টি তালাবন্ধ ফ্ল্যাটে স্যুটকেসের ভিতরে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর নাবালিকাকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগে ১ জনকে আটক করে পুলিশ। রাতের দিকে বিক্ষোভের মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে থানার গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকতে তোড়জোড় করেন বিক্ষোভকারীরা। ফটক ঝাঁকানোর চেষ্টা শুরু হয়। ভিতরে তৈরি ছিল পুলিশ। এর আগেও, নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে তেতে উঠেছিল হুগলির চুঁচুড়া। জানা যায়,  যুবকের সম্পর্ক মেনে নিতে না পারার আক্রোশ থেকেই যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপান কিশোরীর মা-বাবা! গত অক্টোবরের ঘটনা। যুবকের মৃতদেহ রাস্তার উপর থেকে উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। 


প্রেমে আপত্তির জের...
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, নাবালিকা মেয়ের প্রেমে আপত্তি থাকায় তার প্রেমিককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপান কিশোরীর মা-বাবা। পরে রাস্তার ধার থেকে যুবকের নিথর দেহ উদ্ধার হলে হইচই পড়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২ বছর ধরে, পাড়ারই এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে চুঁচুড়া কালীতলার বাসিন্দা রোহিত রাম নামে বছর কুড়ির এই যুবকের। পড়শিদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কয়েকবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও গেছে দু’জনে। শেষ বার সেপ্টেম্বর মাসে বিহারে পালান রোহিত ও সেই নাবালিকা। ফিরিয়ে আনার পর হোমে ঠাঁই হয় কিশোরীর। অভিযোগ এর পর থেকে মেয়ের প্রেমিককে পাড়ায় ঢুকতে নিষেধ করে কিশোরীর পরিবার। কিন্তু সম্ভবত সেই নিষেধাজ্ঞা তিনি মানেননি। সমস্ত  কিছু অগ্রাহ্য করে পাড়ারই এক আটাকলে কাজ নিয়েছিলেন যুবক। শুক্রবার রাতে তাঁকে পাড়ায় দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কিশোরীর মা-বাবা। অভিযোগ, বাঁশ ও কাটারি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে শুরু করেন। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও-ও ভাইরাল হয়েছে। একাংশের দাবি, সেটি হামলার মুহূর্তের ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, পাড়ারই এক বাসিন্দা, যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর খানিকক্ষণ পরই, রাস্তার ধারে রোহিতকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। যুবকের মা-র দাবি ফুলকুমারী রামের বক্তব্য, 'মেয়েটার মা-বাবাই ওঁকে মেরেছে।' 


আরও পড়ুন:রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় স্বস্তির বৃষ্টি, ভিজল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ