সুনীত হালদার, হাওড়া: আমতার মুক্তিরচক গণধর্ষণ (Amta Gang Rape Case) মামলায় আট আসামিকে কুড়ি বছরের কারাদণ্ড (Jail Term) শোনাল আদালত। শনিবার বরুণ মাখাল, বংশী গায়েন, নব গায়েন, সৈকত মণ্ডল, সুকান্ত পাত্র, গৌতম মাখাল, গৌরহরি মাখাল ও শঙ্কর মাখালকে আমতা আদালতের বিচারক রোহন সিনহা এই সাজা শোনান।


কী সাজা?
দোষীদের ৩২৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী এক বছরের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা শোনান বিচারক। জরিমানা অনাদায়ে এক মাস কারাদণ্ডের কথাও বলা রয়েছে ওই রায়ে। তাছাড়াও ৪৫০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সাত বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জরিমানা আদায় না হলে ৬ মাস কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে নির্দেশে। একই সঙ্গে ৩৭৬ডি ধারা অনুযায়ী কুড়ি বছরের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। এই জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সঙ্গে জানিয়েছেন, জরিমানার টাকা আদায় হলে তা দুই নির্যাতিতার মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, হালে কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তেতে ওঠে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি একাধিক বার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গত এক সপ্তাহে।  পরে সেখান থেকে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ হলে পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে। মৃতের নাম মৃত্য়ুঞ্জয় বর্মন। মৃত যুবক বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ ধরপাকড় শুরু করলে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনের ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় প্রতিবাদ করায়, তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বছর তেত্রিশের মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি রাধিকাপুরের চাটগাঁ এলাকায়। কালিয়াগঞ্জে যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও তোলেন বিরোধী দলনেতা। 'পুলিশ নৃশংস ভাবে রাজবংশী যুবককে খুন করেছে। গতকাল মধ্যরাতে মমতার ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু বিষ্ণু বর্মনকে তাঁরা পায়নি। মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে ৩৩ বছরের যুবককে নৃশংস ভাবে খুন করে পুলিশ। এটা অত্যাচার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অন্যতম নিদর্শন। রাজ্য জ্বলছে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্রাট নিরোর মতো ভূমিকা পালন করছেন। গতকালই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালিয়াগঞ্জের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তাঁর নির্দেশ পালন করেছে। এই নৃশংস হত্যার দায় তাঁকেই নিতে হবে', ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর।


আরও পড়ুন:শরীরচর্চার পরেই অ্যাসিডিটি হচ্ছে? এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?