সুনীত হালদার, হাওড়া: খেলতে খেলতে পাঁচতলা বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর জখম ৯ বছরের বালক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে গোড়াবাড়ি থানার পুলিশ।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল রাত সাড়ে নটা নাগাদ পিলখানার ফকির বাগান লেনের এক পাঁচ তলা বাড়ির ছাদে খেলছিল বেশ কিছু বাচ্চা। সম্ভবত চোখে রুমাল বেধে কানামাছি খেলছিল কয়েকজন। হঠাৎ অনীশ কুমার নামে ৯ বছরের একটি ছেলে ছাদের পাঁচিল টপকে নিচের রাস্তায় পড়ে যায়। ঘটনার সময় রাস্তার ধারে বসে আড্ডা মারছিলেন স্থানীয় যুবকরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ছুটে আসেন। আহত অবস্থায় অনীশকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই সে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়েই পৌঁছে যায় গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশও জেনেছে যে অনীশের চোখে রুমাল বাধা ছিল। ছাদের পাঁচিল বেশি উঁচু নয়। অনীশ পাঁচিল টপকে নিচে পড়াতেই এই দুর্ঘটনা, আপাতত এটাই ভাবছে পুলিশ। ৯ বছরের এক বালকের সঙ্গে এমন ঘটায় স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় উদ্বেগের মেজাজ। নাগাড়ে কান্নাকাটি করছে অনীশের পরিবার যে ছবি দেখে অনেকেরই গত অক্টোবরের একটি ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে। সে বার ফুটবল খেলতে গিয়ে বিদ্যুতের কাটা তার পায়ে লেগে মারা যায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র।


অক্টোবরেও মর্মান্তিক পরিণতি...
সে বার নবান্ন থেকে মাত্র হাফ কিলোমিটার দূরে শিবপুরের মালিবাগানে ঘটনাটি ঘটে। সেখানে এভারগ্রিন স্পোর্টিং ক্লাব নামে একটি স্থানীয় ক্লাবের একটি ছোট মাঠে বাচ্চারা প্রতি দিন ফুটবল খেলে। ঘটনার দিনও তারা ফুটবল খেলছিল। হঠাতই একটা কাটা তার ইরফান খান নামে ১২ বছরের এক কিশোরের পায়ে জড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ ওই অবস্থাতেই পড়ে ছিল সে। পরে বিষয়টি আশপাশের বাসিন্দাদের নজরে আসায় পুলিশে খবর যায়। ছুটে আসেন পরিজনেরা। দ্রুত তাকে টোটো করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে ইরফানকে। শিবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।


আরও পড়ুন:নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মেনে পুকুর উদ্ধার দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের