রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোনারপুর (Sonarpur) থেকে উদ্ধার হল প্রচুর পরিমাণ সোনার গয়না (Gold Jewellery)। প্রায় ৮০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য বিপুল। ধৃত এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী।


সোনারপুরে উদ্ধার সোনার গয়না


দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে উদ্ধার হল প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না। প্রায় আটশো গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। ঘটনায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


ধৃত ওই ব্যবসায়ীর পাটুলিতে সোনার দোকান ও সোনারপুরের মালঞ্চ এলাকার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেই এই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে এগুলি সমস্ত চোরাই সোনা। ধৃতের নাম বঙ্কিম কর্মকার।


গত ১০ অক্টোবর সোনারপুর এলাকা থেকে ধরা পড়ে ৩ ডাকাত। তাদের নাম মুজিবর মণ্ডল, সইফুদ্দিন মণ্ডল ও শঙ্কর দাস। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বঙ্কিম কর্মকারের খোঁজ মেলে। চোরাই সোনারও হদিশ পাওয়া যায়। ধৃতকে আজ বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার মিস পুষ্পা। 


আরও পড়ুন: Job Seeker Agitation: "দেখুন কীভাবে আমাদের ঘরের ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত হচ্ছে,'' ধর্না মঞ্চে মন্তব্য সমীর আইচের


অন্যদিকে, এদিন খাস কলকাতার অনতিদূরে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয় এক ট্রেনযাত্রী যুবকের কাছ থেকে। ছিমছাম পোশাক। চেহারাও সাধারণ। হাতে বড় ব্যাগ। লোকাল ট্রেনে সওয়ার হয়েছিল টিটাগড়ের বাসিন্দা অভিষেক। মঙ্গলবার বিকেলে সেই সময়ই ট্রেনে চেকিং করছিল নৈহাটি জিআরপি। যুবকের আচরণই তাকে ধরিয়ে দেয়। উদ্ধার হয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। যা হাতে গোনা মুশকিল !


অঙ্কটা আকাশ ছোঁয়া। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে টিটাগড়ের বাসিন্দা ওই যুবকের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৬১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয় বলে নৈহাটি জিআরপি সূত্রে খবর। রাতে ঘটনাস্থলে যান আয়কর দফতর ও দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। সকালে আনা হয় টাকা গোনার যন্ত্র। ওই টাকা কোথা থেকে আনা হয়েছিল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।


সূত্রের খবর, বারবার বয়ান বদলে বিভ্রান্ত করছে যুবক। ওই যুবকের ফোনে পাওয়া গিয়েছে একটি ছেঁড়া ১০ টাকার নোটের ছবি। দাবি, ওই যুবক যার হাতে ওই টাকা তুলে দিত, তার মোবাইলেও ওইরকম ১০ টাকার ছেঁড়া নোটের ছবি থাকার কথা। যা মিলিয়ে হওয়ার কথা ছিল লেনদেন। কিন্তু এই বিপুল অঙ্কের টাকার উৎস কী? কোনও দুষ্কৃতী গ্যাংয়ের সঙ্গে কি যুক্ত ওই যুবক? পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে বারবার আলাদা আলাদা উত্তর দিয়ে চলেছে অভিষেক। এর পিছনে কি সক্রিয় কোনও চক্র? থাকলেও এর চাঁই কে কে? তদন্ত চলছে।