রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ফের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার রাজ্যে। এবার জলপাইগুড়িতে। ময়নাগুড়ি বাজার এলাকায় বিএসএফের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকও। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চ্যাংড়াবান্ধায় বিএসএফের অভিযানে এই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
কী উদ্দেশ্যে ব্যাগ ভর্তি অস্ত্র-বিস্ফোরক? এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। অস্ত্র-বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগ ফেলে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা, জানাল বিএসএফ।
সব ঠিক থাকলে নতুন বছরেই পঞ্চায়েত ভোট হবে। তার আগে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের নানা কোণা থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র-বিস্ফোরক। কলকাতা থেকে সীমান্তবর্তী জেলা বা বাংলা-বিহার সীমানার কোনও জেলা। সর্বত্রই এক ছবি।
সম্প্রতি মালদার মানিকচক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার কদিন আগেই মালদার রতুয়ার কাহালায় অস্ত্র হাতে এক তৃণমল নেতার ছেলের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানেও একইভাবে অস্ত্র পাচারের অভিযোগে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল বেঙ্গল এসটিএফ। ওই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
বীরভূমেও অস্ত্র উদ্ধার:
সম্প্রতি বীরভূমেও উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। নলহাটি থানার নাচপাহাড়ি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছিল একাধিক অস্ত্র। সম্প্রতি বীরভূমের সাঁইথিয়ার গ্রামে দু-পক্ষের বোমাবাজিতে হাত-পা উড়ে যায় এক যুবকের। গুরুতরভাবে জখম হয়েছে এক নাবালকও। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। তার কদিন পরে সেই জেলাতেই অস্ত্র উদ্ধার হয়। নাচপাহাড়ি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২টি নাইন এমএম, একটি ওয়ান শটার ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল ১ জন।
মমতার সতর্কবার্তাও:
কদিন আগেই রানাঘাটের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করতে সীমান্ত থেকে অস্ত্র আসছে। উত্তরবঙ্গকে ছত্রভঙ্গ করতে বিহার থেকে অস্ত্র আসছে। বিহার থেকে ১ হাজার টাকায় অস্ত্র ঢুকছে, ওপার থেকেও অস্ত্র ঢুকছে। উত্তরবঙ্গে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে’। যার পরই পুলিশ-প্রশাসনকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'নাকা তল্লাশি বাড়াতে হবে, কড়া নজর রাখতে হবে'।
নভেম্বরের গোড়াতেই খাস কলকাতার এপিসি রোড থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ঘটনায় গ্রেফতার হন নিউ আলিপুরের বাসিন্দা জয় চৌধুরী। উদ্ধার হয় ৩টি অটোম্যাটিক পিস্তল ও ১টি দেশি পিস্তল। মেলে জাল নোট ও প্রচুর গুলি। তার আগেও রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বারবার অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কয়েকদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার পাওয়া যায়। সেটাও উদ্ধার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
আরও পড়ুন: জাল ড্রাফটের তদন্তে নেমে ভুয়ো আধার ও প্যান কার্ড বানানোর চক্রের হদিশ