নদিয়া: এক মহিলাকে খুন করে দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে, জঙ্গলে দেহ ফেলতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হরিণঘাটায়। ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে ওই মহিলা হরিণঘাটা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। আজ মহিলার মৃতদেহটি ফেলার সময় এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কথায় অসঙ্গতি পাওয়া যায়। খবর দেওয়া হয় হরিণঘাটা থানায়। পুলিশ এসে প্লাস্টিকের মোড়ক খুলতেই মৃতদেহ বেরিয়ে আসে। পরে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
পুজোর মরশুমে আরও এক গৃহবধূর খুনের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয় স্কুল শিক্ষক স্বামী। খুনের পর, বাড়িতেই দেহ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, প্রথমে জানানো হয়, বাড়িতে আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে গেলে জানানো হয়, গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত তথ্য সামনে আসে। জানা যায়, ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করে খুন করার পর, দেহে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তৃতীয়ার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে বউবাজারের (Bowbazar) যদুনাথ দে রোডে।
এই একই সময়ে একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। জানা যায়, অসুস্থতার ভান করে জল খেতে বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে খুন! পালাতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত পনির বিক্রেতা। মহিলার পরিচিত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাসিন্দাদের মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঠিক কী কারণে এই খুন, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ।
পাশাপাশি কিছুদিন আগে উত্তর কলকাতার হেদুয়ায় মহিলাকে খুন করে এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় কালিম্পং থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছেন, মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু সম্প্রতি মহিলা সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় খুন। হেদুয়াকাণ্ডের পর, শিলিগুড়িতে, প্রাক্তন স্ত্রী ও দুই শিশুকেও খুনের ছক ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। হেদুয়ায় নিহত মহিলার উপর আততায়ীর যে প্রবল আক্রোশ ছিল তা প্রাথমিক তদন্তে কার্যত নিশ্চিত হয় তদন্তকারীরা। নিহত মহিলার নাবালক পুত্রর বয়ান অনুযায়ী আঁকানো হয় আততায়ীর স্কেচ। তার পরই গ্রেফতার করা হয় তাকে