ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: হাসপাতালে কর্মরত নার্সের উপর আচমকা চড়াও রোগীর আত্মীয়। তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নার্স মৌমিতা কর্মকার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Suri Super Specialty Hospital)।


চড়াও রোগীর আত্মীয়: রবিবার রাতে হাসপাতালের মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে। সিউড়ি থানার পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়। অভিযুক্ত কৈলাস দলুইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত নার্স মৌমিতা কর্মকার জানিয়েছেন, গতকাল রাতে তিনি এবং আরেকজন নার্স হাসপাতালে ডিউটি করছিলেন। আচমকা এক রোগীর বাবা তাঁদের দিকে এগিয়ে আসেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁদের উপর চড়াও হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কৈলাসের ছেলে রবিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন খিঁচুনি রোগ নিয়ে। এরপর এই রাতেই এই ঘটনা ঘটে। কৈলাসের স্ত্রী রেখা দোলুই জানিয়েছেন, তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন এবং তাঁর স্বামী হাসপাতালে ছিলেন। এরই মধ্যে হাসপাতাল থেকে ফোন করে এমন ঘটনার কথা জানানো হয়।


গত বছর চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কসবার বাসিন্দা আমন সাউকে। এরপর মৃ্ত্যু হয় বছর কুড়ির তরুণের। চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয়রা। পরিবারের অভিযোগ সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হয়নি।  তার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সদ্যোজাতকে  মৃত বলে ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট (Death Certificate) দেওয়ার পরও নড়েচড়ে ওঠে সে। এমন অভিযোগ সামনে এসেছিল।  জানা যায়, শিশু পুত্র জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে মৃত বলে ঘোষণ করা হয়। মাথায় স্ট্যাম্প দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট লিখে, প্যাকিং করে শিশুকে মৃত বলে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিলেন। কিন্তু শেষকৃত্যের সময় নবজাতককে নড়াচড়া করতে দেখে আঁতকে ওঠেন পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত শিশুকেই জীবিত বলে ঘোষণা করা হয়, এমনই দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Recruitment Scam: কীভাবে অনুত্তীর্ণদের নাম ঢোকানো হয়েছিল চাকরি প্রাপকদের তালিকায়? CBI-এর চার্জশিটে উল্লেখ