অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর : গিয়েছিলেন বেড়াতে। আনন্দ করে ফেরার সময় ঘটে গেল ভয়ঙ্কর পরিণতি । বাঁকুড়া থেকে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন ১০ জনের পর্যটক দল। বেড়িয়ে ফেরার সময় ঘটে গেল দুর্ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এই পরিণতি। শীত কাল। ঘন কুয়াশা। দুরন্ত গতি। আর এর ফলে দুর্ঘটনা। এমন একাধিক দুর্ঘটনার খবর আসছে বিভিন্ন জেলা থেকে। তেমনই আরও একটি মর্মান্তিক খবর এটি। 


মৃত ১ 
দিঘা বেড়িয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বোলেরো গাড়িটি। দুর্ঘটনায় বেঘোরে প্রাণ গেল এক যাত্রীর। মৃত পর্যটকের নাম আলিমুদ্দিন মির্জা  (২৭)।    কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন, তবে গুরুতর আহত চারজন ।  পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা ঠাকুর চকের কাছে বৃহস্পতিবার রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরিকে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে পর্যটক বোঝাই গাড়িটির। জানা যাচ্ছে, তারপর তা ছিটকে রাস্তার ধারে পড়ে যায়।


আরও পড়ুন : 


ওপরের ওপরে হেলে হোটেল, বাড়ছে বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা, এবিপি আনন্দ-এ এক্সক্লুসিভ ছবি


কুয়াশার কারণে কি দৃশ্যমানতা কম ছিল?                                                            


এই দুর্ঘটনা পর কাঁথি মেদিনীপুর রাজ্য সড়ক দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বেলদা থানার পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে চিকিৎসক একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শীতের রাতে কুয়াশার কারণে কি দৃশ্যমানতা কম ছিল?  নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারণ?  খতিয়ে দেখছে পুলিশ।ঘাতক লরিটি পালিয়ে গেলে ধাওয়া করে ধরে ফেলে পুলিশ। 


কেতুগ্রামে দুর্ঘটনা 


কিছুদিন আগেই কাটোয়া থেকে কীর্ণাহারে যাওয়ার পথে যাত্রীবোঝাই বাসের চাকা ফেটে বিপত্তি ঘটে। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে কালভার্টের গার্ডওয়াল ভেঙে খালে পড়ে যায় বাস। আহত হন ১২ জন যাত্রী। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 


হরিপালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা 


এর আগে ডিসেম্বর মাসে, হুগলির হরিপালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় পর্যটক বোঝাই বাস। মৃত্যু হয় এক মহিলা যাত্রীর। আহত হন ৩৫ জন। আঘাত গুরুতর হওয়ায়, ১৫ জনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাসচালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে দুর্ঘটনা বলে মনে করা হয় প্রাথমিক তদন্তে।