তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: গ্রামে ঢুকে পড়া দলছুট একটি হাতিকে দেখতে গিয়ে হাতির হানায় গুরুতর জখম হলেন এক যুবক। আহত যুবকের নাম সুবল মুর্মু। আজ সাত সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের সাহাপুর গ্রামে। আহত যুবককে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, দিন দুই আগে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বনবিভাগে ঢুকে পড়ে পাঁচটি হাতির একটি দল। এরপর ওই দলটি অপর একটি দলের সঙ্গে মিলিত হয়। দুটি দল মিলিয়ে ১১টি হাতি দারকেশ্বর নদ পেরিয়ে সোনামুখীর দিকে রওনা হয়ে গেলেও ওই দলের একটি হাতি দলছুট হয়ে দারকেশ্বরের অপর পাড়ে থেকে যায়।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে দলছুট হাতিটি সাহাপুর এলাকায় গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করলে স্থানীয় যুবক সুবল মুর্মু হাতি দেখতে যান। এই সময় হাতিটি সুবল মুর্মুকে তাড়া করলে সুবল মুর্মু কাদায় পা পিছলে পড়ে যায়।


সুবলের দাবি এরপরই হাতিটি তাঁকে পায়ে মাড়িয়ে দেয়। এরপর স্থানীয়রা ও বনকর্মীরা সম্মিলিত ভাবে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত সুবল মুর্মকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। আহতর চিকিৎসা দেখভাল করার পাশাপাশি হাতিটিকে দলে ভিড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন দফতর। 


কিছুদিন আগে বিক্ষিপ্ত একটি ঘটনায়, জলপাইগুড়িতে ২ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের দুটি হাতির দাঁত সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। বন দফতর সূত্রে জানা যায় যে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই দাঁত। সেই সময় ওদলাবাড়িতে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে একটি অলটো গাড়িতে তল্লাশি চালায় বনকর্মীরা। সেখান থেকে বেরিয়ে আসে দুটি হাতির দাঁত। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে থাকা তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতার হওয়া তিন পাচারকারীর বাড়ি আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে। পাচারকারীদের জেরা করে জানা যায় যে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাতির দাঁতগুলো। এই বিষয়ে বন দফতরের আধিকারিক হরি কিষান ফোনে জানান, আলিপুর থেকে  শিলিগুড়ির উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাতির দাঁত দুটি। একটি গাড়ি সমেত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। বন দফতরের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।