ভাঙড়: রক্ষকই যেন ভক্ষক! এবার অপহরণের অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ধৃতের নাম ফিরোজ মিদ্দা। তিনি বিধাননগর কমিশনারেটে কর্মরত। অভিযোগ, ২-৩ দিন আগে বাসন্তী হাইওয়ের কাছে পরিচিত এক ব্যক্তিকে মারধর করে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। প্রথমে একটি দোকানে আটকে রেখে পরে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে ফোন করে ১০-১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ভাঙড় থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। এর পর ভাঙড় থানার (Bhangar Police Station) পুলিশ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করে।
এর আগেও একাধিকবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কিছুদি আগে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদাগিরি। পরিচয় জিজ্ঞাসা করা নিয়ে বচসার জেরে এক ব্য়ক্তিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিষ্ণুপুর । থানার রাধানগর ফাঁড়ির এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে স্থানীয় জয়কৃষ্ণপুর বাজার থেকে চপ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন শিবু বাগদি নামে এক ব্য়ক্তি। অভিযোগ অফ ডিউটিতে থাকা সুব্রত নন্দী নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর পরিচয় জানতে চান। তা নিয়ে দু'পক্ষের বচসা বাধে। শিবু বাগদিকে ব্য়াপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়ায় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্তের পরিবার। তদন্ত করে ব্য়বস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি।
তবে বিপরীত ঘটনাও রয়েছে, কিছুদিন আগেও ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় আক্রান্ত দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। লাঠি দিয়ে মেরে, হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল ছিনতাইবাজদের বিরুদ্ধে। গতকাল গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ির গাজিয়া ডাপ এলাকায়। অভিযোগ, কর্তব্য়রত দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের মোটরবাইক ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে কাপড়ে মুখ বাঁধা চার দুষকৃতী। বাধা দিলে হামলা চালায়। প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ে পালিয়ে বাঁচেন। দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। মোথাবাড়ি থানার পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। দুষকৃতীদের খোঁজ চলছে।