কলকাতা: ঘোষণা মতোই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের উদ্দেশে ডাকযোগে পদত্যাগপত্র পাঠালেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছেও পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির চেম্বারে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।(Abhijit Gangopadhyay) 


রাষ্ট্রপতি এবং দেশের প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে পদত্যাগপত্র লেখার পর, এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির চেম্বারে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সকালে ৯টা ৫০ মিনিটে বাড়ি থেকে হাইকোর্টের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সকাল ১০টা বেজে ২১ মিনিটে শেষ বার বিচারপতি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে পা রাখেন। (Justice Abhijit Ganguly Resigns)


বিচারপতির দায়িত্ব ছেড়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হতে চলেছেন বলে এবিপি আনন্দই প্রথম সামনে আনে। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নিজেই পদত্যাগ এবং রাজনীতিতে অবতীর্ণ হওয়ার কথা জানান তিনি।  শিক্ষায় নিয়োগে দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন মামলায়, যাঁর বহু রায় এবং পর্যবেক্ষণ রাজ্য়  রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে, বিতর্কের উদ্রেক করেছে, তাঁর রাজনীতিতে পা রাখার খবর নিয়েও কাটাছেঁড়া চলছে এই মুহূর্তে। 


আরও পড়ুন: Abhijit Gangopadhyay Announcement Live Updates: তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়


রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকারকে বরাবর নিশানা করে এসেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দলের নেতাদের নিয়েও আদালতের ভিতরে এবং বাইরে একাধিক মন্তব্য করেছেন, যে প্রসঙ্গ সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছয়। বিচারপতি পদে আসীন থেকে তিনি রাজনৈতিক মন্তব্য করে চলেছেন বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বিচারপতির আসন ছেড়ে তাঁর রাজনীতি করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।


অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, তৃণমূলের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেই রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে রাজনীতিতে এলেও, তৃণমূলে কোনও মতেই যাবেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, তৃণমূলে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ইতিহাসর পাতায় মৌর্য সাম্রাজ্যের কথা পড়েছিলেন, বাংলায় তৃণমূলের চৌর্য সাম্রাজ্য চলছে বলেও মন্তব্য করেন। কোন দলে যাবেন, তা যদিও খোলসা করেননি তিনি। তবে বড় কোনও অঘটন না ঘটলে, তিনি বিজেপি-তেই যোগ দিতে পারেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে বিজেপি-র প্রার্থীও হতে পারেন তিনি।