কেশপুর: কেশপুরের (Keshpur) সভা থেকে একযোগে সিপিএম এবং বিজেপিকে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির জল্লাদ হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দেন তিনি।


সিপিএম এবং বিজেপিকে আক্রমণ: এক সময়ের বাম দুর্গ কেশপুর। ২০০১ সালের, বিধানসভা নির্বাচনে এখান থেকে রেকর্ড ভোটে জিতেছিলেন সিপিএমের নন্দরানী ডল। সেখানেই সম্প্রতি শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপির। গত লোকসভা নির্বাচনে কেশপুরে, যেখানে, তৃণমূলের লিড ছিল ৯২ হাজারের বেশি ভোটের। সেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে এখানে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান কমে হয় প্রায় ২১ হাজার। সিপিএমকে সরিয়ে দ্বিতীয়স্থানে উঠে আসে বিজেপি।                                      

এবার সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এই অবস্থায়, শনিবার কেশপুরের সভা থেকে বিজেপি এবং সিপিএমকে একসঙ্গে আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “লাল জামা ছেড়ে গেরুয়া জামা পরে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সেই দাদাগিরি, সেই বোম-বন্দুকের রাজনীতি কেশপুরে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। সমবায়ে দেখেছেন, রাম-বাম মডেল। তাও হারাতে পারেনি। এখানেও এক হয়েছে। এক ডাকে অভিষেকের নম্বর দিয়ে যাচ্ছি। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসকে বলছি, মনোনয়ন দিতে না পারলে আমাকে বলবেন। এসে করিয়ে দিয়ে যাব।’’                                                  

গত কয়েকমাসে কেশপুরে বারবার সামনে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে শনিবারের সভা থেকে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যেও কড়া বার্তা দেন অভিষেক। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, “৩-৪টে নেতার নিজেদের রেষারেষিতে দলের মাথা নত হলে ছেড়ে কথা বলব না। সময় দিচ্ছি এখনও শোধরান, নাহলে যে ওষুধ দেব, শোধরানোর সময় পাবেন না। প্রার্থী জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি দেবে না, মমতা ব্য়ানার্জি দেবে। পাহারাদারের নাম অভিষেক ব্য়ানার্জি। অদৃশ্য় চোখ সবার ওপর ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’

কেশপুর ব্লকে ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। সব কটিই এখন তৃণমূলের দখলে।  আর কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির ৪৫টি আসনের মধ্যে ৪১টি রয়েছে তৃণমূলের দখলে। বাকি, ৪টিতে জিতেছিল নির্দল।এবার কী হবে? সেটা বোঝা যাবে পঞ্চায়েত ভোটের ফলেই।


আরও পড়ুন: Health News: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকেন পক্স ও জলাতঙ্ক, বেলেঘাটা আইডির রিপোর্টে আশঙ্কার মেঘ