কলকাতা: লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলবের মুখে একের পর এক তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব। তবে এখন শুধু নেতা-মন্ত্রীতেই থেমে থেমে নেই। পৃথক মামলায় তলবের মুখে তাঁদের সন্তান-পরিবার। ইতিমধ্যেই শাসকদলের গ্রেফতার হওয়া একাধিক হেভিওয়েটের তালিকায় রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মন্ডল থেকে শুরু করে সদ্য গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও রয়েছেন। পাশাপাশি একাধিকবার তলবের মুখে 'বন্দ্যোপাধ্যায়' পরিবার। আর আজ ফের এদিন এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। 


প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসে নাম না করে একদিকে 'পরিবারবাদ' নিয়েই নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কিন্তু ব্যুমেরাং হয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তলবের মুখে বারবার 'বন্দ্যোপাধ্যায়' পরিবারকে আসতে দেখা গিয়েছে। একটা সময় দিল্লিতে তলবে ডাকে হাজিরা দিতে যেতে হত। যদিও সুপ্রিম নির্দেশের পর সেই নিয়মেও বদল আসে। তবে একদিকে যখন কুণাল ঘোষ 'অধিকারী' পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।আর এবার পাল্টা প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগে ফের মোদি সরকারকে নিশানা করলেন অভিষেক। 


এদিন অভিষেক বলেন, 'তৃণমূলের সঙ্গে না পেরে বিজেপি এজেন্সিকে ব্যবহার করছে। যেদিন যেদিন আমার কর্মসূচি, সেই দিনই আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে। ইডি ডেকেছিল বলে গতকালের সভা পিছিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। প্রায় ৬ হাজার পাতার নথি ইডি দফতরে জমা দিয়েছি। গরু পাচার, কয়লা কেলেঙ্কারিতে কিছু করতে না পেরে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ডাকছে। শুধু আমাকে নয়, আমার মা-বাবা-স্ত্রী সবাইকে ডেকে পাঠাচ্ছে। কিন্তু এভাবে ধমকে চমকে আমাকে দমিয়ে রাখা যাবে না।'


প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর, বিরোধী জোট 'INDIA'-র সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ED। আর এবার ৩ অক্টোবর, মঙ্গলবার, দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্নার দিনই ফের তলব করা হয় অভিষেককে। এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বলেন, 'আমি তো বলছি, তদন্তে সহযোগিতা করছি। যতবার ডেকেছে গেছি। আগামীদিনেও যাব। আপনারা তদন্তের জন্য় ডাকছেন না। কর্মসূচিকে বাধা দিতে ডাকছেন।... আপনি ৪ তারিখ ডাকুন। আজকে ডাকলেন না কেন ? কাল ডাকলেন না কেন ? '


আরও পড়ুন, ফের মোদি সরকারকে নিশানা অভিষেকের

 কেন বারবার বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ দিনেই অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে তলব করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ? এর নেপথ্য়ে কি মূল উদ্দেশ্য় অভিষেক ও তৃণমূলকে বেশি করে 'লাইমলাইটে' আনা ?অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের গুরুত্ব আরও বাড়ানো ? তৃণমূলের যাতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্ব এবং বিজেপি বিরোধিতা আরও জোরালভাবে সামনে আনতে সুবিধা হয়, সেই সুযোগই করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ? গোটাটাই কি তৃণমূল ও বিজেপির 'সেটিং' ? প্রশ্ন তোলে প্রদেশ কংগ্রেস ও সিপিএম।