করুণাময় সিংহ, বিজেন্দ্র সিংহ, দীপক ঘোষ, কলকাতা : লোকসভা ভোটের মুখে চ্যালেঞ্জ, পাল্টা চ্যালেঞ্জে সরগরম সারা দেশ। ভোট মানেই বাক যুদ্ধে একে অপরকে ক্ষতবিক্ষত করার মরসুম। এই আবহেই সারা রাজ্যে জনগর্জন সভা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তাঁর সভা ছিল বালুরঘাটে, যা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কেন্দ্র। সুকান্ত-গড়ে দাঁড়িয়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তীব্র নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদারও। সবমিলিয়ে সরগরম বালুরঘাটের ভোট-যুদ্ধ।
'রেখে দিলে আলসার, বাড়তে দিতে ক্যানসার...' এমনই সব শব্দবন্ধে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি। অভিষেক আরও বলেন, ' আমি সুকান্ত বাবুকে বলব, আপনার লোকসভা কেন্দ্রে এসে আরেকবার চ্য়ালেঞ্জটা ছুড়ে দিয়ে গেলাম। একদিকে আপনি থাকবেন, একদিকে আমি থাকব। এই ৩ বছরে আবাসের যদি ১০ পয়সার শ্বেতপত্র আর ১০০ দিনের ১০ পয়সার হিসেব কাগজের হিসেব বিজেপি দিতে পারে, আমি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না।'
১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ আটকে রাখার অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ করছে বাংলার শাসকদল। এই ইস্য়ুতেই তৃণমূলের সমালোচনা করতে গিয়ে, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বলেছিলেন, 'ওনাকে কিছু করতে হবে না। সুকান্ত মজুমদার একটা ফোন করবে, সব টাকা চলে আসবে।'
সোমবার, এই প্রসঙ্গ তুলে সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'আপনাদের এখানকার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিল, যে আমি একটা টেলিফোন করব, আর বাংলার মানুষের টাকা চলে আসবে। তাহলে ভাবুন আপনার টাকা কে আটকে রেখেছে? যে মানুষের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর মানুষের টাকা আটকে রাখে তাঁকে শিক্ষা দেবেন কি দেবেন না এই নির্বাচনে?'
পাল্টা বেশ কয়েকটি ফাঁকা জনসভার ছবি পোস্ট করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'আজ গঙ্গারামপুরে কার্যত ফাঁকা মাঠে গোল দিলেন ভাইপো... যিনি নিজের সভা ভরাতে পারেন না, তিনি আবার আমাকে আমার মাটিতে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ দেন! হাস্যকর!'